সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
নলডাঙ্গা (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলায় আপত্তিকর অবস্থায় পরকীয়া প্রেমিক জুটিকে এলাকাবাসি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
গত সোমবার মধ্যে রাতে এঘটনাটি ঘটে। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিক জুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে চাঁন মিয়ার ( ৩০) সাথে একই গ্রামের নির্মান শ্রমিক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ২ সন্তানের জননীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিনের গড়ে উঠা গভীর প্রেম সম্পর্কের সুবাদে পরিবারের লোকজনের চোখে ফাঁকি দিয়ে একাধিকবার তারা বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
এ ধারাবাহিকতায় ঘটনার রাতে স্বামী রফিকুল ইসলাম নলডাঙ্গা বাজারে আসে। এই সুযোগে প্রেমিক চাঁন মিয়া প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় রফিকুল ইসলামের বড় ভাইয়ের স্ত্রী ঘটনাটি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজন ডেকে প্রেমিক জুটিকে ঘরের ভিতরে হাতেনাতে আটক করে। এঘটনার পর স্বামী রফিকুল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাদুল্লাপির এসআই কনক বলেন, এ ঘটনায় থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা হয়েছে। পরের দিন আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রফিকুল ইসলামের ভাতিজা মিলন মিয়া বলেন, এর আগে ওই মহিলা এরকম অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। তার এহেন অপকর্মের কথা বলতে গেলে আমাদের পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলাসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
ওই গ্রামের শামীম মিয়া, মিঠু মিয়া ও নবীর হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ওই মহিলা একজন দুশ্চরিত্রা মহিলা। ইতিপূর্বে তাকে সংশোধনের জন্য সামাজিক ভাবে অনেকবার বলা হয়েছে। কিন্তু সে সংশোধন না হয়ে বরং সম্প্রতি আরো বে-পরোয়া হয়ে উঠে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক অবক্ষয়ের আশঙ্কায় তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসি আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশের আশ্রয় নেয়।
তথ্যসুত্রে আরো জানা গেছে, এর আগেও নলডাঙ্গা বন্দরের শহীদ মিনার সংলগ্ন প্রেমিক চাঁন মিয়ার টিস্টলে গভীর রাতে স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। তারপরেও প্রেমিক জুটি তাদের গোপন অভিসার চালাতে থাকে।
এরমধ্যেই ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রেমিক চাঁন মিয়ার স্ত্রী স্বামীর এহেন অপকর্ম মেনে নিতে না পারায় প্রায় ১ বছর আগে তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।