শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তিস্তা খালের চৌধুরী খেয়া ঘাটে নির্মিত ২০০ ফুট দীর্ঘ নরবরে কাঠের সেতুটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে আসছে। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উক্ত ইউনিয়নের কিশামত সদর মৌজার পূর্ব দিকে কিশামত সদর, বেলকা নবাবগঞ্জ, পঞ্চানন্দ, জিগাবাড়ী, তালুক বেলকা, গাছবাড়ী, রামডাকুয়া ও বেকরীর চর গ্রাম। আর এ সকল গ্রামের বসতি রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। স্কুল ও কলেজে পড়া শিক্ষার্থী রয়েছে শত শত। এ সকল মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পারাপারের একমাত্র ভরসা ঐ নরবরে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু। প্রতিনিয়ত তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারি দিয়ে প্রয়োজনের তাগিতে চলাচল করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ বিভাগীয় শহর রংপুর অঞ্চলে । এতে করে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। নরবরে সেতুর কারণে চিকিৎসা সেবা দেয়ার মত বা নেয়ার মত তাৎক্ষনিক কোন উপায় নেই। অগ্নিকান্ডের ন্যয় ঘটনা ঘটলে যেতে পারছেন না দমকল বাহিনী। এদিকে বর্ষাকালে ঐ দশটি গ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং গ্রামে বসবাসরতদের দূর্বিসহ জীবন পাড়ি দিতে হয়। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক লেখা পড়া। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল্লাহ জানান, কাঠের সেতুটি তিনি প্রতিবছর সংস্কার করে দিলেও স্থায়ী ভাবে ব্রীজ নির্মাণের কোন লক্ষণ দেখছি না। ঐ স্থানে স্থায়ী ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ ও আবেদন নিবেদন করেও কোন লাভ হচ্ছে না। মানুষজন ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেতুটি পাড়ি দিয়ে তাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। স্থায়ী ভাবে ব্রীজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট জোড় দাবী জানাচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ বলেন, এসকেএস এনজিও ঐ স্থানে ব্রীজ নির্মাণের জন্য কথা দিয়েছে। অপেক্ষা করি তারা ব্রীজটি নির্মাণ করে কি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ব্রীজ নির্মাণের জন্য একটি আবেদন পত্র দিয়েছিল। আমি এসকেএস এনজিওকে বিষয়টি দেখার জন্য মার্ক করে দিয়েছি।