রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জ নানা সমস্যা নিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবাকার্যক্রম। হাসপাতালটি ৩১ থেকে ১শ’ শয্যায় উন্নীত হলেও চিকিৎসক সংকট, অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা সহ নানাবিধ সমস্যার কারণে সুষ্ঠুসেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলা বাসী।
বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ৩০টি পদের মধ্যে ১৫টি পদই ফাঁকা পড়ে আছে। শুধু গাইনি, সার্জারি ও এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন ধরে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৭ লক্ষাধিক জনবসতির এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এই উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বগুড়ার শিবগঞ্জ, সোনাতলা, জয়পুরহাটের কালাই ও পাঁচবিবি এবং সাঘাটা উপজেলার বেশ কিছু এলাকার রোগী জরুরী চিকিৎসার জন্য ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। কিন্তু চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা রয়ে গেছে অনেকটা আগের মতই। এখানে শিশু, চর্ম ও যৌন, চক্ষু, মেডিসিন, কার্ডিওলজি, নাক কান গলা, অর্থোপেডিক্স, ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবের জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ শূন্য আছে দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া ডেন্টাল সার্জন ও ইউনানি মেডিকেল অফিসার পদেও চিকিৎসক নেই।
বর্তমানে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর প্রচ- ভিড়। ৫০ শয্যায় স্থান সংকুলান না হওয়াতে মেঝে ও করিডোরে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এই হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। নতুন ভবন নির্মাণের কাজের জন্য পুরাতন ভবনের বড় অংশ ভাঙে ফেলায় স্থান সঙ্কটে গাদাগাদি করে রোগীদের রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে আগত বেশীর বাগ রোগীদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সোলায়মান আলী চিকিৎসা নিতে এসেছেন রাজাহার ইউনিয়নের শিহিগাও থেকে। তিনি বলেন বার বার চেয়েও মশারি না পাওয়ায় মশার চরম উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছে। নিয়মিত বালিশ, বিছানার চাদর পরিবর্তন করে দেয়া হয় না বলে নোংরা বিছানাতেই থাকতে হয়।
পৌর এলাকার শান্তনা রাণী বলেন, তিনি পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে এসেছেন এখানে। পরীক্ষার জন্য বাইরের যেতে হচ্ছে। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ও দর্শনার্থীরা বলেন এক্সরেসহ অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা এখানে হয় না। আর বেশিরভাগ ঔষধ তো বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি এক্সরে মেশিন থাকলেও এর দুটি ৫ বছর আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে উপযুক্ত কক্ষের অভাবে চালু এক্সরে মেশিনটি প্রায় দুই বছর আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা দিনাজপুরের হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কমিটির উপদেষ্টা ও সভাপতির সাথে কথা বলেছি। যে সমস্যা গুলি রয়েছে ১০০ শযার বিল্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলে এবং এর কার্যক্রম শুরু হলে অভিযোগ কমে আসবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com