সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের মহিমাগঞ্জ বাজারে বিশাল রঙিন মাছের খামার। বালু মাটির ওপরে মাছের জন্য মাটির চাড়ি বসানো রয়েছে। তাতেই চলছে মাছের উৎপাদন ও বিক্রি।
এখানেই তরিকুল ইসলাম বিপ্লব বিভিন্ন রঙের এবং জাতের সৌখিন মাছের খামার করে মাছ বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়েছেন। এক সময়ের বেকার তরিকুল ইসলাম নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই রঙিন সৌখিন মাছের ব্যবসা দিয়ে। মালি, প্লাটি, গাপ্পি ,সাটেল, এ্যাঞ্জেলসহ প্রায় ৩৫ জাতের মাছ রয়েছে তার খামারে। প্রতি পিস মাছ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
প্রথমে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে রঙিন মাছের ব্যবসা শুরু করলেও এখন তিনি ৪০ লাখ টাকার কারবার গড়ে তুলেছেন। তার মধ্যে কর্মচারীর বেতন, মাছের খাবার খরচ ব্যয় ধরে তার কাছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা থাকে। খামারে তার পরিবারের সবাই কাজ করেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে এটি একটি আলাদা ব্যবসা। সারাদিন রঙ-বেরঙের মাছের সাথে থাকা যায়। প্রতি মাসে খামার থেকে ১ লাখ টাকার রঙিন সৌখিন মাছ বিক্রি হয়। ক্রেতাদের মাছ পালন করার কৌশল শিখিয়ে দেই। এক সময় বেকার থাকলেও এখন আমি নিজেই স্বাবলম্বী।
এলাকার মনজুর কাদির বলেন, ‘বিভিন্ন মাছের খামার দেখেছি কিন্তু এরকম সৌখিন মাছের খামার কখনো চোখে পড়েনি। এই তরিকুল আমাদের গর্ব। তার সৌখিন মাছ দেখতে প্রতিদিন শত শত লোক আসেন। আমাদের ভালো লাগে।’
তরিকুলের সৌখিন মাছের খামার দেখে সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়িতে বেশ কয়েকটি রঙিন মাছের খামার গড়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌখিন মৎস্যপ্রেমীরা এখানে মাছ কিনতে আসেন।
গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকতা ফয়সাল আযম বলেন, মানুষ নিজেরাও এখন বেকার থাকতে চান না। নিজের তাগিদে ব্যবসা নির্বাচন করে নিজেরাই রঙিন, সৌখিন মাছের খামার গড়ে তুলেছেন। তাকে আমরা মৎস্য বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি।