সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ থেকে টুকু প্রধানঃ গোবিন্দগঞ্জে টর্চ লাইটের আলো মারাকে কেন্দ্র করে মেজবাউল করিম বাউল (৫৬) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কোমরপুর (কানিপাড়া) গ্রামের মেজবাউল করিম বাউলের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৭) গত বুধবার দিবাগত রাতে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক সোয়া ১০টার দিকে একই ইউনিয়নের দরবস্ত মধ্যপাড়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদের বাড়ির উঠানে অনেক লোকজনের জটলা দেখে মোমিনুল তার হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলো তাদের দিকে ধরে। টর্চ লাইটের আলো লোকজনের মুখে পড়লে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোমিনুলকে মারপিট শুরু করে। এখবর বাড়িতে পৌঁছার পর মোমিনুলের বাবা মেজবাউল ও বড় ভাই ময়নুল ইসলাম বাবু (৩০) কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত লোকজনের কাছে মোমিনুলের কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। এসময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে মাদকসেবী সৌমিক মিয়া ও আল আমিনসহ আরও বেশ কয়েকজন মেজবাউলকে বেদম মারপিট শুরু করলে সে গুরতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তার দুই ছেলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আশংকাজনক অবস্থায় মেজবাউলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই সাজু মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত পূর্বক হাসপাতাল থেকে মেজবাউলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর কবির রতন নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, মেজবাউলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে (বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা)। মামলার কার্যক্রম সম্পাদন হলে এজাহার নামীয় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানান।