সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে লালচামার এলাকায় তিস্তা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলেও রোধ হচ্ছে না। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসীর দাবী উঠেছে।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে প্রতি বছর হাজার হাজার হেক্টর আবাদী জমি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, শতশত বসতবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিলীন হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরও শতশত বসতবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নিরাশ্রয়, নিরন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এ অবস্থা চলতে থাকায় সরকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গন রোধের জন্য বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হলেও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে ওই সব এলাকার ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে ভুক্তভোগিরা। ৪নং পয়েন্টের দক্ষিণ পাশের্^র ক্ষতিগ্রস্থ আফছার আলী, সহিদুর রহমান, আজাহার, রাজ্জাক, রেজাউল, রফিকুলসহ অনেকে জানান লাল চামার ৪নং পয়েন্টে দক্ষিণ ও উত্তরে জনবসতি এলাকার মাঝে ফসলি জমি ও ফাকা জয়গা। পাউবো কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জনবসতি জায়গায় জিও ব্যাগ না ফেলে ফাকা স্থানে জিও ব্যাগের স্তুপ করেছে। জিও ব্যাগ স্তুপের দক্ষিণ ও উত্তরে অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হলেও ওই স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কোনো পরিকল্পনা নেই কর্তৃপক্ষের। জিও ব্যাগ প্রস্তুতকালে পাউবো’র ওয়ার্ক এসিসটেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন লালচামারের ৪নং পয়েন্টের দক্ষিণ ও উত্তরে জনবসতি এলাকায় এই মহুর্তে জিও ব্যাগ ফেলার কোনো পরিকল্পনা নেই। ভাঙ্গন রোধের জন্য পাউবো (পওর) বিভাগ গাইবান্ধার তত্ত¦াবধানে জিও ব্যাগ ফেললেও কোন কাজে আসছে না। স্থায়ীভাবে তিস্তার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা করা না হলে অল্প সময়ের মধ্যে এলাকাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পাউবোর (পওর) বিভাগ গাইবান্ধার সংশ্লিষ্ট এসও এটিএম মোনায়েম হোসেন জানান, বন্যার সময় থেকে আমরা তিস্তা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন আমার এলাকার মানুষ তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় স্থানে জিও ব্যাগ ফেলছে না কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী ভাবে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নদী বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক সাদেকুল ইসলাম দুলাল বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকারের প্রস্তাবিত প্রকল্প পাশ করে ভাঙ্গন রোধের জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।