সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পাওয়ায়, সাঘাটায় নৌ-ঘাটে প্রবেশ পথে বালিচর জেগে উঠায় ৫টি নৌ-ঘাট বন্ধ হয়েছে। ১টি সচল থাকলেও নৌ-চলাচলের ক্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নৌকা ঘাটে ভিড়তে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
জানা গেছে, বছরের পৌষ ও মাঘ মাস এলেই যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পেয়ে সাঘাটায় নৌ-ঘাটগুলোর প্রবেশ পথে বালিচর জেগে উঠে। উপজেলার ৫টি নৌ-ঘাট ইতি মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। সাঘাটা সদর ঘাটটি সচল থাকলেও নৌ-চলাচলের ক্যানেল বন্ধ হয়ে নৌকা ঘাটে ভিড়তে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এর কারণে হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি, পাতিলবাড়ী, জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও গুটাল সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচল এবং এলাকায় উৎপাদিত পন্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে একমাত্র অবলম্বন হলো নৌকা। প্রবেশ পথে বালিচর জেগে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরাঞ্চলের এসব মানুষ তাদের উৎপাদিত আলু, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল বাজারে বিক্রয়ের জন্য আনা নেওয়া করতে পারছেন না। বাঘমারী চর হতে গারামারা পর্যন্ত ড্রেজিং করা হলে প্রায় ৪ কিলোমিটার বালিচর পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে এসব লোকজনকে অতিকষ্টে যাতায়াত করতে হবে না। মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষগুলো যাতায়াত করছে অতি কষ্টে । পণ্য সামগ্রীর পরিবহন তো দূরের কথা একাকী বালির মধ্যে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়াই অতি কষ্টকর। এছাড়া মুমুর্ষ রোগীর জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে বালিচর দিয়ে হেঁটে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা শহরের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চরাঞ্চলবাসী প্রশাসনের নিকট দাবি করেন জেগে ওঠা বালিচর খনন করে বালি অপসারণ করে নৌ-চলাচল পথ সচল করা । এটা করা হলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে চরাঞ্চলে। দূর্ভোগ লাঘব হবে চরাঞ্চলবাসীর। সাঘাটা নৌ-ঘাটের ইজারাদার ওবায়দুল্ল্যাহ জানান, সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ঘাট লীজ নিয়েছি। কিন্তু বালিচর জেগে উঠে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নিবাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, ড্রেজিং বিষয়টা আমাদের যে নৌ-চলাচল সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত নৌ চলাচলে ড্রেজিং কাজটা করি না। তবে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে সমীক্ষা কাজ চলছে।