সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধায় লাইসেন্সবিহীন ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভুমিকা শীর্ষক সভা গাইবান্ধার সাত উপজেলার মাঠে পাকা ধানঃ ক্ষতি আশঙ্কায় কৃষকরা সুন্দরগঞ্জে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে ধান কাটার অভিযোগ ঃ আটক ২ সুন্দরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৬ প্রতিদ্বন্দ্বী গোবিন্দগঞ্জে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা ২ মহিলা গ্রেফতার ভরতখালী জয় কালী মন্দিরে মনোবাসনা মেলা জমে উঠেছে বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গাইবান্ধায় তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

দাড়িয়াপুরে শিকারির ফাঁদে অতিথি পাখি

দাড়িয়াপুরে শিকারির ফাঁদে অতিথি পাখি

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার। জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাল-বিল, জলাশয় থেকে সংঘবদ্ধ শিকারি চক্র প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করছে। ফাঁদ পেতে অবাধে পাখি শিকার হলেও নীরব বন বিভাগ।
জেলার বিলাঞ্চল হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার দারিয়াপুর। এ অঞ্চলে কুমারগাড়ি, পাখিমারী, শৌলমাড়ী ও বাঘমাড়া বিলসহ আরও বেশকিছু খালবিল রয়েছে। প্রতিবছর এ সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি। ঠিক এ বছরও পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে এলাকাটি। এরমধ্যে এসব পাখি নিধন করতে ব্যস্ত শিকারিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দারিয়াপুরের বিলগুলোতে পাখির ঝাঁক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে শত শত সাদা বক ও পানকৌড়ি। কতিপয় মানুষ লাঠি হাতে পাখিগুলোকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এ তাড়া খেয়ে জালে ও ফাঁদে ফেলে পাখিগুলো খাঁচায় আটকানো হচ্ছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার নদীর তীর ও খাল বিলেও পাখি নিধন শুরু করেছে শিকারিরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিলে পানকৌড়ি ও সাদা বকসহ আরও অসংখ্য অতিথি পাখি ছুটে আসে। পুরো শীতকাল অবস্থান করে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শীতের তীব্রতা কমে গেলে পাখিরা পূর্বের স্থানে ফিরে যায়।
খবির আলী নামের এক বাসিন্দা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাখির ভূমিকা অপরিসীম। এ এলাকায় অবাধে পাখি শিকার করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন বিভাগ।
জামাল উদ্দিন নামের এক সমাজকর্মী বলেন, শীতকাল আসলেই অতিথি পাখি নিধনের মহোৎসব শুরু হয়। বন বিভাগকে বলেও কোনো প্রতিকার হয়না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিকারি বলেন, জীবিকার তাগিদে অনেক দিন থেকে পাখি ধরি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এসব পাখির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রকারভেদে প্রতিটি পাখি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা দামে বিক্রি করি।
গাইবান্ধা বন বিভাগের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, পাখি নিধনের ব্যাপারে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। ওই এলাকায় পাখি শিকারের বিষয়টি তার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com