সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার। জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাল-বিল, জলাশয় থেকে সংঘবদ্ধ শিকারি চক্র প্রতিদিন বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার করছে। ফাঁদ পেতে অবাধে পাখি শিকার হলেও নীরব বন বিভাগ।
জেলার বিলাঞ্চল হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার দারিয়াপুর। এ অঞ্চলে কুমারগাড়ি, পাখিমারী, শৌলমাড়ী ও বাঘমাড়া বিলসহ আরও বেশকিছু খালবিল রয়েছে। প্রতিবছর এ সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের অতিথি পাখি। ঠিক এ বছরও পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে এলাকাটি। এরমধ্যে এসব পাখি নিধন করতে ব্যস্ত শিকারিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দারিয়াপুরের বিলগুলোতে পাখির ঝাঁক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে শত শত সাদা বক ও পানকৌড়ি। কতিপয় মানুষ লাঠি হাতে পাখিগুলোকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এ তাড়া খেয়ে জালে ও ফাঁদে ফেলে পাখিগুলো খাঁচায় আটকানো হচ্ছে।
জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার নদীর তীর ও খাল বিলেও পাখি নিধন শুরু করেছে শিকারিরা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বিলে পানকৌড়ি ও সাদা বকসহ আরও অসংখ্য অতিথি পাখি ছুটে আসে। পুরো শীতকাল অবস্থান করে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শীতের তীব্রতা কমে গেলে পাখিরা পূর্বের স্থানে ফিরে যায়।
খবির আলী নামের এক বাসিন্দা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাখির ভূমিকা অপরিসীম। এ এলাকায় অবাধে পাখি শিকার করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন বিভাগ।
জামাল উদ্দিন নামের এক সমাজকর্মী বলেন, শীতকাল আসলেই অতিথি পাখি নিধনের মহোৎসব শুরু হয়। বন বিভাগকে বলেও কোনো প্রতিকার হয়না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিকারি বলেন, জীবিকার তাগিদে অনেক দিন থেকে পাখি ধরি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এসব পাখির বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রকারভেদে প্রতিটি পাখি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা দামে বিক্রি করি।
গাইবান্ধা বন বিভাগের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, পাখি নিধনের ব্যাপারে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। ওই এলাকায় পাখি শিকারের বিষয়টি তার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।