মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধায় লাইসেন্সবিহীন ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভুমিকা শীর্ষক সভা গাইবান্ধার সাত উপজেলার মাঠে পাকা ধানঃ ক্ষতি আশঙ্কায় কৃষকরা সুন্দরগঞ্জে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে ধান কাটার অভিযোগ ঃ আটক ২ সুন্দরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৬ প্রতিদ্বন্দ্বী গোবিন্দগঞ্জে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা ২ মহিলা গ্রেফতার ভরতখালী জয় কালী মন্দিরে মনোবাসনা মেলা জমে উঠেছে বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গাইবান্ধায় তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বন্যায় গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি: আসন্ন ঈদে কোরবানীর পশু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

বন্যায় গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি: আসন্ন ঈদে কোরবানীর পশু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ বন্যায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ও দীর্ঘ সময় পানিতে ডুবে থাকায় গবাদি পশুর পাইকাররা গাইবান্ধায় আসতে পারছেন না। ফলে আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানীর পশু বেচাকেনা বিঘিœত হচ্ছে। এতে কাঙ্খিত মূল্য কমে যাওয়ার আশংকায় কোরবানীর পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
এদিকে গাইবান্ধায় এবারের দু’দফা বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় খাদ্য সংকটসহ রোগব্যাধির কারণে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্য সংকটে এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্যার অভাবে কোরবানীর গরু ও ছাগলগুলোর যথেষ্ট স্বাস্থ্যহানি হয়েছে। ফলে এবার কোরবানীর বাজারে এ সমস্ত গরু-ছাগলের যথেষ্ট দাম পাওয়া যাবে না বলে পশু পালক ও খামারিরা চরম লোকসানের আশংকা করছেন।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এসব ইউনিয়নের ৭২ হাজার ৭৭৭টি গরু, ১০২টি মহিষ, ৩২ হাজার ৫৮৩টি ছাগল এবং ১৬ হাজার ২৪০টি ভেড়া বন্যা কবলিত হয়। এছাড়া বন্যায় আক্রান্ত হয় ১ লাখ ৮ হাজার ২৪৪টি মুরগী এবং ৪৯ হাজার ৪৮০টি হাঁস। এসব পশু-পাখি বন্যার কারণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ে। তাদের চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়।
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কদমতলা গ্রামের গরু খামারী শাহজাহান মিয়া বলেন, বাড়িতে বন্যার পানিতে উঠায় গরুগুলো ঠিকমত পরিচর্যা করতে পারছি না। এছাড়াও গরুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে লাভের চেয়ে লোকসান হবে বেশী।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ জানান, দুসপ্তাহের বন্যায় জেলায় ১৭টি খামারের ১৭৫টি গবাদি পশু এবং ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৪১টি হাঁস-মুরগীর খামারের ৩৮ হাজার ৮শ’ হাঁস-মুরগী ও ৫৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তদুপরি ১ কোটি ৪২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার ৪ হাজার ৪শ’ ১৭ মে.টন গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত ঘাস এবং ১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ১ হাজার ৩শ’ ২০ মে. টন খড় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি আরও জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশু খাদ্য সহায়তা দানের লক্ষ্যে ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এ আর্থিক বরাদ্দ খুবই কম। তারপরও যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তার সাহায্যে খাবার সংগ্রহ করে গবাদি পশুর জন্য বিতরণ করা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com