মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গাইবান্ধায় লাইসেন্সবিহীন ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভুমিকা শীর্ষক সভা গাইবান্ধার সাত উপজেলার মাঠে পাকা ধানঃ ক্ষতি আশঙ্কায় কৃষকরা সুন্দরগঞ্জে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে ধান কাটার অভিযোগ ঃ আটক ২ সুন্দরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের ৬ প্রতিদ্বন্দ্বী গোবিন্দগঞ্জে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা ২ মহিলা গ্রেফতার ভরতখালী জয় কালী মন্দিরে মনোবাসনা মেলা জমে উঠেছে বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গাইবান্ধায় তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি গোবিন্দগঞ্জে শ্রমিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

গাইবান্ধায় ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু

গাইবান্ধায় ৪ বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু

স্টাফ রিপোর্টারঃ ফুলছড়ি-গাইবান্ধা সড়কের সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পূর্ব বোয়ালী গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি সেতু। ওই সেতুর পাশে তৈরি করা একটি বাঁশের সাঁকো। যা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। সরেজমিনে দেখা যায়, ভারী যানবাহন তো দূরের কথা মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও রিকশা-ভ্যানও ভালো ভাবে যাতায়াত করতে পারছে না এই পথে। সেতুটির এক পাশের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে হালকা এসব যানবাহন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই রাতে ফুলছড়ির সিংড়ায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রােতে সেতুটির নিচের মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিচের মাটি ক্ষয়ে যাওয়ায় ২০১৭ সালের ২০ জুন সেতুটি দক্ষিণ দিকে বেশি পরিমাণে হেলে গেলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত এ সেতুর পাশে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এ পথে চলাচলকারী হুমায়ুন কবির, আব্দুর রাজ্জাক, বাবলু মিয়াসহ কয়েকজন পথচারী জানায়, আগে সেতুর ওপর দিয়ে খুব সহজেই চলাচল করতে পেরেছি। সেতু না থাকায় এখন সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ধান ব্যবসায়ী আজাদ মিয়া বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই ট্রলিতে করে ফুলছড়ির কালিরবাজারে ধান নিয়ে যেতে পারছি না। ভ্যানে করে পরিবহন করতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। অটোবাইক চালক মনু মিয়া বলেন, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই এ পথে মানুষের চলাচল কমে গেছে। বেশি টাকা ও সময় লাগলেও মানুষ অন্য পথে বেশি এলাকা ঘুরে চলাচল করছে। এ পথে চলাচল করতে গিয়ে কষ্ট পেতে হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ মানুষকে। উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে সাঁকো দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার মানুষদের। এখানে একটি নতুন সেতু নির্মান করা খুবই জরুরী। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বৈঠকে আলোচনা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম সেলিম পারভেজ বলেন, ওই সড়কটি দিয়ে শহরমুখী আমার উপজেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আমার এলাকার বাইরে হওয়ায় আমি তেমন কোন উদ্যোগ নিতে পারছি না। সদর উপজেলার সীমান্তে ক্ষতিগ্রস্থ সেতুটি সংস্কার বা নির্মাণে গাফিলতি করা হচ্ছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com