সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কৃষকদের রোপা আমন ধান ক্ষেতে পোকা- মাকড় দমনে কীটনাশকের বিকল্প আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার বেড়েছে। পরিবেশ ও কৃষি বান্ধব হওয়ায় কৃষকের কাছে পদ্ধতি দুটি দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর ব্যবহার। এর কারণে ফসল নষ্টের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে উপজেলার পৌরসভা ব্লকে দেখা যায়, আলোক ফাঁদ ও পার্চিং পদ্ধতি স্থাপনের বিভিন্ন চিত্র। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ রাশিদুল কবির কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ওই ফাঁদের ক্ষতিকর পোকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলা ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত থেকে অধিক ফলন ঘরে তুলতে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস। সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে কৃষি কর্মকর্তারা। পোকা মাকড়ের আক্রমণে ফসলের যেন ক্ষতি না হয়, সেই চিন্তায় দমন করা হচ্ছে। ক্ষতিকর ধান ক্ষেতের প্রধান শত্রু কারেন্ট, মাজরা, গান্ধি ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং দমনে জমিতে আলোক ফাঁদ ও পার্চি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেভাবে স্থাপন করতে হয় আলোক ফাঁদ-সূর্যাস্তের পরই ক্ষেতের একটু দূরে শক্ত বাঁশ-কাঠ কিংবা তিনটি লোহা দিয়ে স্ট্যান্ড বানাতে হয়। সেখানে একটি পাত্রের মধ্যে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রণ করে একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর আলোর সাহায্যে ওই পাত্রে আসতে শুরু করে উপকারি ও অপকারি পোকা। এসব পোকার মধ্যে ক্ষতিকর পোকাগুলো চিহ্নিত করতে হয়। সেগুলো নিধন করতে কৃষি কর্মকর্তারা দিয়ে থাকেন ব্যবস্থাপত্র। এতে ব্যবহার করতে হচ্ছে, ক্যারাটে, ফাইটার, সুমিথিয়ন, একতারা, ছেতারা ও ভিরতাকো নামের কীটনাশক। এক লিটার পানি ও দুই মিলি ওষুধ মিশ্রণ করে সকালে অথবা বিকেলে স্প্রে করতে হয়। এভাবেই পোকা-মাকড় দমন করছেন কৃষকরা। একই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতিও।