মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গৃহবধূ ফরিদা পারভীন (২৫)। ছোট বেলা থেকে রঙে আঁকাআকিঁ পছন্দ করতেন। সেই পছন্দই পেশা হয়ে দাঁড়িয়ছে তার। ইতোমধ্যে কাপড়ের ক্যানভাসে রংতুলির নকশা ফুটিয়ে এই নারী এখন সফল উদ্যোক্তা।
তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের মাঠেরহাট কচুবাড়ী এলাকার ভেটেরিনারী পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হুদার স্ত্রী। স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি খোলাহাটি ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় তার রয়েছে একটি কারখানা। সেখানে কাজ করছেন ১৫ জন নারী। কর্মরত এই শ্রমিকরা মাসে প্রায় ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুরুতে স্বামীর হাত খরচের মাত্র তিন হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন ব্লক বাটিক ও হ্যান্ড পেইন্টের পোশাক তৈরির কাজ। সেখান থেকেই আজকের এই অবস্থান তৈরি করেছেন। মাত্র তিন বছর আগে প্রায় শূন্য থেকে শুরু করা এই লড়াইয়ে ফরিদা এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। মাসে আয় করছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তবে ঈদুল ফিতরকে ঘিয়ে তার বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা।
টুপিতে নকশার কাজ করে গ্রামীণ নারীদের দরিদ্রতা জয়
ফরিদার কারখানায় রংতুলির আঁচড় আর ডাইসের ডিজাইনে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এক একটি শাড়ি, জামা ও পাঞ্জাবি। পোশাকের রঙের মতই নিজের স্বপ্ন রাঙিয়েছেন এই উদ্যোক্তা। শুধু তাই নয়, এই কাজে অনুপ্রাণিত করছেন অন্য নারীদেরও। তৈরী করা এসব পোশাক অনলাইনসহ স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এ থেকে অনেকটা স্বাবলম্বী ফরিদা পারভীন। তার স্বাবলম্বী হওয়ার লড়াইয়ে বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন স্বামী নাজমুল হুদা। আগামীতেও থাকতে চান স্ত্রীর সহযোগী হয়ে। তবে ব্যবসার পরিসর বাড়াতে প্রয়োজন ঋণ।
ওই কারখানায় কর্মরত মরিয়ম বেগম বলেন, এক সময় বাড়িতে বসেছিলাম। এখন ফরিদা আপার কারখানায় কাজ করে মাসে ১০ হাজার টাকা বেগন পাচ্ছি। এ থেকে সংসারে সহযোগিতা করে অনেকটা এগিয়েছি।
উদ্যোক্তা ফরিদা পারভীন বলেন, জীবন খুবই চ্যালেঞ্জিং। এখন আমি অনলাইন প্রচারণা সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। আমার কারখানায় তৈরী পোশাকগুলো বিশেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করছি। ভবিষ্যতে ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধিসহ সমাজে অবহেলিত নারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বড় আকারে করার স্বপ্ন বিন্তু দরকার মোটা অংকের পূজিঁ।
গাইবান্ধার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় বলেন, নারী উদ্যোক্তা ফরিদা পারভীনকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে এগিয়ে নিতে আরো সহযোগিতা করা হবে।