শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ভিতর ও বাইরে যেন দুর্গন্ধের শেষ নেই। বারবার অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠলেও নেই কোনো প্রতিকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি জনবল সংকট।
সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা প্রায়ই তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন । মোশারফ হোসেন নামের এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, বাবার পা ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পা প্লাস্টার করার নির্দেশ দিলে হাসপাতালের ৬৮ নাম্বার রুমে গেলে এক পা প্লাস্টারের বিনিময়ে এক হাজার টাকা দাবি করা হয়। এছাড়া অন্য রোগীদেরও অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে। না দিলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেলায় ২৫০ শয্যার হাসপাতালে একশো জনের অবকাঠামো রোগী ভর্তি আছে ২৮০ জন। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা ও একই বেডে দুইজন করে চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালের ভিতরে, বাইরে এমনকি ওয়ার্ডগুলোতেও ময়লা আবর্জনায় ভরা। সেখানে দুর্গন্ধে থাকার মতো কোন পরিবেশ নেই।
রোগী ও স্বজনরা জানায়, ওষুধ নাই, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এক বেডে দুইজন করে রোগী গাদাগদি করে থাকতে হচ্ছে। ওষুধ সংকট, বাহিরে থেকে ওষুধ কিনে এনে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে, ডাক্তার নাই ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এই হাসপাতালে।
জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শিহাব মোঃ রেজওয়ানুর রহমান জানান, একশো জনের অবকাঠামোতে প্রায় দিনেই ২৮০ রোগী ভর্তি থাকলে কীভাবে সম্ভব! যেখানে একজন রোগীর সঙ্গে লোক আসার কথা একজন। সেখানে প্রতিদিন চার-পাঁচ জন লোক আসে এত লোকের সেবা দিতে জনবল এই হাসপাতালে নেই। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রোগীদের চাপ বেশি হলেও স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নেই।