সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় বর্ষার ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশা

গাইবান্ধায় বর্ষার ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশা

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুয়াশা বা শিশির কথাটি শুনলেই মনে হয় শীত কালের কথা মনে পড়ে যায় কিন্তু বর্ষাকালে কুয়াশা পড়লে রীতিমতো অবাক হতেই হয়। প্রকৃতির এই নিয়মের ব্যতিক্রমে মুগ্ধ হয়েছে সবাই ।
গাইবান্ধায় টানা কয়েকদিন বৃষ্টির পর গতকাল শনিবারেই কেবল বৃষ্টি হয়নি । আর বর্ষার বৃষ্টিহীন এমন ভোরে দেখা মেলে কুয়াশার । ভোর পাঁচটা থেকে সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দেখা যায় কুয়াশায় ঢেকে ছিল প্রকৃতি । ক্ষনিকের জন্য তৈরি হয়েছিল শীতের আবহ ।
জানা যায় বায়ুম-লের উপরে সৃষ্টি হওয়া মেঘ আমাদের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে হলেও আমাদের হাতের কাছেই আছে মেঘের ছোট ভাই! কুয়াশা। বৃষ্টি, তুষার, কুয়াশা, শিশির এদেরকে আমরা আলাদা হিসেবে চিনলেও এরা আসলে একই জিনিস। এদের যেকোনো একটার ব্যাপারে জেনে গেলে সবগুলো সম্পর্কে জানা হয়ে যায়। আবহবিদগণ এই জিনিসটাকে বলেন বারিপাত। এই প্রেসিপিটেশন বা বারিপাতের কয়েকটা প্রকারভেদের মাঝে একটা হচ্ছে বৃষ্টি, আরেকটা কুয়াশা। শীতের সময়ে ভূমি তাপ বিকিরণ করে খুব দ্রুত ঠা-া হয়ে যায়। ভূমির কাছাকাছি যে বাতাস থাকে সেগুলোও ভূমির সাথে সাথে ঠা-া হয়। ঠা-া হলেই ঘনীভূত হবার প্রবণতা দেখা যায়। আর নিচের বায়ুস্তরে বীজ হিসেবে আঁকড়ে ধরার জন্য ধূলির তো আর কোনো অভাব নেই। ফলে সহজেই কুয়াশার সৃষ্টি হতে পারে। পরে যখন সূর্য ওঠে তখন বায়ুম-ল উত্তপ্ত হয় এবং আস্তে আস্তে কুয়াশা বিলীন হয়ে যায়। বৃষ্টির পর বায়ুতে ভাসমান ধূলিবালি ধুয়ে নিচে চলে যায়। আর ধুলাবালি না থাকলে বাষ্পকণা একত্রে মিলে ঘনীভূত হতে পারে না। সেজন্য বর্ষাকালে যে রাতে বৃষ্টি হয় না সে সকালে মাঝে মাঝে কুয়াশা পরতে দেখা যায় ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com