শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১১টি প্রাথমিক ও ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ১২ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি হলেও এ দুটি নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন। বন্যা কবলিত ওই ৪ উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৮০ মেঃ টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে এবং নতুন করে আরও বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম সম্পুর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত বন্যা কবলিত ৪ উপজেলার ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিরূপন করা যায়নি। অপরদিকে সিভিল সার্জন সুত্রে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি জনিত কারণে ১০৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা দেয়ার কাজ শুরু করেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com