মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ দরিদ্র বলে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের ঠাঁই হলো না দরিদ্র এক নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে। ১৭ ঘণ্টা জল্পনা-কল্পনা ও বৈঠকের পর অবশেষে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের ঠাঁই হয়েছে এক ধনীর ঘরে।
গোবিন্দগঞ্জের কোমরপুর ব্রিজের নিচে গত বুধবার রাতে ফেলে রেখে যায় ওই নবজাতককে। সকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সাহাদৎ হোসেন নামের এক নিঃসন্তান ব্যক্তি। পরে নবজাতককে লালন পালনের জন্য আরও কয়েকজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
গ্রামবাসী বলেন, কুড়িয়ে পাওয়া নিঃসন্তান ব্যক্তির কোলেই দেওয়া হোক নবজাতককে; কিন্তু অনেকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিপাকে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের হেফাজতে সাহাদৎ হোসেনের বাড়িতেই রাখা হয় এক রাত। তারপর নবজাতকের ঠাঁই কোথায় হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে মিটিং ও আলোচনা। শিশু কল্যাণ বোর্ড এই নবজাতকের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে গত বৃহস্পতিবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদে বৈঠকে বসে। শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবজাতককে ধনী এক পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নবজাতককে রক্ষা করতে শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, নবজাতককে ধনী লোকের হাতে তুলে দিলে তিনি ভালোভাবে লালন পালন করতে পারবেন। তাই রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের আমতলী বাজার এলাকার নিঃসন্তান সাদেকুজ্জামান সবুজ ও তার স্ত্রী সীমা আকতারের কোলে তুলে দেওয়া হয় নবজাতককে। নবজাতকের জন্য জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কালাম আজাদ ঈদ উপহার তুলে দেন। নবজাতক যেন থাকে দুধে-ভাতে এ কামনা করা হয়।