শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নাজিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিশাল আকৃতির একটি আমগাছ ঝড়ে ভেঙে পড়ে প্রায় দু’বছর আগে। এরপর সেটি আর সরানো হয়নি। বিক্রিও করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে মাঠটিতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বিঘিœত হচ্ছে। শুকনো ডালপালার নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তারা। অভিভাবকসহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গাছটি সরানোর দাবি জানিয়েছেন।
ভাঙা গাছটি পড়ে থাকায় খেলাধুলা ও সমাবেশ করতে পারছে না বলে জানায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ সজল মিয়া। তার ভাষ্য, মরা গাছের শুকনো ডাল ভেঙে পড়ছে। এর নিচ দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে গাছের নিচে যেতে সাহস পায় না। অভিভাবক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, গাছটি সরানোর ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ করছেন না। ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারছে না। ডাল ভেঙে মাথায় পড়লে বড় ক্ষতি হবে।
গাছ ভেঙে যাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সে সময় গাছটি সরানোর সিদ্ধান্তের রেজুলেশন শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে দুবছরেরও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি জানিয়ে কমিটির সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, তিস্তা নদী পার হয়ে উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে স্কুলটি। সে জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এ অবস্থা হয়েছে।
গাছটি সরানোর ব্যবস্থা নিতে বহুবার শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করা হয়েছে। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল কাদেরের। যদিও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমানের ভাষ্য, গাছটি নিলামের জন্য নিলাম কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা গাছের দাম নির্ধারণ করার পর নিলামের অনুমতি দেওয়া হয়। সে কারণে বিলম্ব হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। তবে বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান জানান, স্কুলের কোনো কাগজপত্র তাঁর দপ্তরে আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।