শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচসহ সকল প্রকার সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। অস্থির ছিল ক্রেতারা । এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে শাক-সবজির দাম। ফলে স্বস্তি ফিরছে ক্রেতাদের মনে। গত বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজিগুলোর দাম কমার চিত্র। এতে কৃষকদের কিছুটা অস্বস্তি বিরাজ করলেও ভোক্তাদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
জেলার কাঁচা বাজারের খুঁচরা বিক্রেতারা জানায়, গত একসপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এর আগে, দাম ছিল ২০০ টাকা। এছাড়া বেগুন ৪০ টাকা থেকে নেমে ২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা নেমে ৪০ টাকা, পটল ৪০ থেকে নেমে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা ৪৫ থেকে নেমে ২৫ টাকা কেজি প্রতি দামে বিক্রি হচ্ছে।
একই সঙ্গে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের। এখন ২০০ টাকা থেকে নেমে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৭০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা থেকে নেমে ৯ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। আর লাউ, পুঁইশাক, পাটশাক, লাল শাকসহ অন্যান্য শাকের দামও কমেছে।
গাইবান্ধা পুরাতন বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা আরিফুল জানান, ভাড়ায় সিএনজি চালিয়ে ৪ সদস্যের সংসার চালান তিনি। কয়েকদিন আগে অস্বাভাবিক ভাবে তরি-তরকারি মূল্যবৃদ্ধিতে জীবিকা নির্বাহ থমকে দাঁড়ায়। দৈনন্দিন রোজগারের চেয়ে পণ্যের বেশি হওয়ায় চাহিদা পূরণে ধার-দেনা করে চলতে হয়েছে তাকে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজারে শাক-সবজির দাম কমিয়ে যাওয়ায় বেশ শান্তি পেয়েছি। আরও কিছুটা দাম কমলে ভালো হয়।
সাদূল্লাপুর বাজারের মজুন মিয়া নামের খুঁচরা সবজি বিক্রেতা জানান, গত একসপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম গড়ে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। দিনদিনে আরও দাম কমতে পারে।
কৃষক জহির উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে প্রচন্ড গরম আবহাওয়ার কারণে মরিচসহ সবজির ফলন কমেছিল। ফলে চাহিদা বেশী থাকায় দামও বেড়েছিল। সম্প্রতি আবহাও অনকূলে থাকায় ফলন বৃদ্ধিতে দাম কমেছে। এতে করে কিছুটা লাভ কম হলেও ক্ষতি নেই।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, কৃষকদের উৎপাদন কমে গেলে দাম বাড়ে। আর উৎপাদন বেশি হলে দাম কমে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকায় আরও শাক-সবজির দাম কমছে।