মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সাদুল্লাপুরে নির্বাচনী প্রতিক বরাদ্দের ব্যাজ বিক্রির চলছে ধুম। গতকাল ১৪ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের দিনে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরগরম ছিল ব্যাপক। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে উসৎব মুখর পরিবেশে ভরপুর। তার মধ্যেই আলাদা আলাদা বসেছিলেন কাগজে ছাপা রঙিন সব প্রতীক নিয়ে। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকরা প্রতীক বরাদ্দের পরই ওই বিক্রেতার কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তাদের নির্ধারিত প্রতীকের ব্যাজ নিতে। টাকায় অথবা দাম অনুযায়ী প্রার্থীরা তাদের কাছ থেকে কিনে নেন বরাদ্দ পাওয়া প্রতীকের ছবি থাকা লেমিনেটিং করা রঙিন কার্ড, রঙিন ফিতা লাগানো গলায় ঝোলানোর ব্যাজ ও বুকে লাগানোর ব্যাজ। ৯নং ওয়ার্ডের দশলিয়া গ্রামের নয়ন নির্বাচনি প্রতীক পাওয়ার পরে আনন্দে কিনছেন ব্যাজ কিন্তুু দাম বেশি হওয়ায় অল্প করে নিলেন। বিক্রেতা ময়মনসিংহ থেকে আসা আশিক জানায়, পড়াশোনার ফাঁকে বাড়তি উপার্জনের জন্য সারাদেশে নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্দের দিন এ ব্যবসা করেন। তাতে জায়গায়ও দেখা হয় বাড়তি কামাইও হয়। আরেক বিক্রেতা হাসান জানান, ইউপি নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জেলা ঘুরে ঘুরে এসব পণ্য বিক্রি করছি। এক-একটি উপজেলায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার নির্বাচনি পণ্য বিক্রি করি কিন্তুু এখানে বিক্রেতা বেশি হওয়ায় কেনাদামে ছাড়ছি তাতে খুব একটা লাভ হবে না। ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বিরাজ জানান, ব্যাজগুলোর দাম প্রতি পিচ ৬/৭ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত। পরে অনেক কিছুর পরে ৩ টাকা করে ১০০পিচ নিয়েছি।
দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ দেয়া প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে নতুন উত্তেজনা থাকে। সেই খুশিতেই তারা পছন্দের প্রতীকের নানা পণ্য কিনে নিচ্ছেন। তবে এই সব ব্যাজ ব্যবহারে সমস্যা নেই। তবে নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ও লিফলেট জাতীয় কোনো কিছুর মাধ্যমে প্রচার চালানো আচরণবিধির লঙ্ঘন। এমন বিষয় নজরে এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।