রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়াম মাঠের দক্ষিণ পাশের জায়গায় চারদিকে ইটের প্রাচীর। ভেতরের জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। আগাছায় ভরে গেছে। পাশে পরিত্যক্ত একটি পুরোনো আধা পাকা ভবন। কিছুদিন আগেও সেখানে গবাদিপশু পালন করা হতো। শহরের আদর্শ কলেজ রোডের এই স্থান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বধ্যভূমি। তবে স্থানটি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া পলাশবাড়ীর কাশিয়াবাড়ীর রামচন্দ্রপুর বধ্যভূমিটি সংরক্ষনের অভাবে অযত আর অবহেলায় পড়ে থাকায় জংগল আর নেশাখোরদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। স্থানীয়দের সংরক্ষনের উদ্দ্যেগ নেয়্ াএকাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে কাজ করছে গাইবান্ধা জেলা বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি। ওই কমিটি সূত্রে জানা যায়, একাত্তরে পাকিস্তানি সেনারা গাইবান্ধা শহরে তৎকালীন হেলাল পার্কে (বর্তমানে শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়াম) ঘাঁটি বানায়। এখানে তারা হত্যাযজ্ঞ ও নারী নির্যাতন চালায়। হত্যার পর লোকজনকে মাটিচাপা দিয়ে রাখত। স্বাধীনতার পর এই বধ্যভূমিতে কাপড়চোপড় ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। তবে বধ্যভূমিতে ঠিক কতজনকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে, তার কোনো সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি সেনারা হত্যার পর এই বধ্যভূমিতে যাঁদের লাশ পুঁতে রেখেছিল, তাঁদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন এখন স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন। হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা শুনে এখনো তাঁরা আহাজারি করেন। যুদ্ধের পর এখানে এসে দেখা গেছে অনেক কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দ্রুত এখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা প্রয়োজন।
এই বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তবে কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর ২৫ মার্চ রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ২০১০ সালে সরকার দেশের সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য একটি প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু আজও হয়নি, এর বাস্তবায়ন চাই।