রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ডাক ঘরের হালচিত্র

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ডাক ঘরের হালচিত্র

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ডাক টিকিট, খাম, ডাক পিয়ন, ডাক হরকরা, পোষ্ট মাষ্টার, মানি অর্ডারের টাকা, পোষ্ট অফিস, রেজিষ্ট্রি চিঠি, রানার এই শব্দগুলো এখন অনেকের মনে নাই। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এইসব শব্দের সাথে তেমন পরিচিত নয়। কালের বির্বতনে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় ডিজিটাল এই যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে ডাকঘরের কার্যক্রম। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ডাকঘর এবং বামনডাঙ্গা ডাকঘরের আওতাধীন ২৮টি সাব ডাকঘর রয়েছে। সবগুলো ডাকঘরের বেহাল চিত্র, দেখার নেই কেউ। উপজেলা ডাকঘরটি বাহির থেকে দেখলে মনে হবে এটি একটি পরিত্যক্ত একটি ভবন। অথচ সেই ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে পোষ্ট মাষ্টারসহ ৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। ভিতরের পলেস্তার ধসে গিয়ে ছাদ চুঁয়ে পানি পড়ে ভিজে যাচ্ছে কাগজপত্রাদি। যে কোন মহুর্তে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। ১৯৮০ সালে উপজেলা ডাকঘরটি উদ্বোধন করা হয়। খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা ডাকঘরের অধীনে ১২টি এবং বামনডাঙ্গা ডাকঘরের অধীনে ১৬টি সাব ডাকঘর রয়েছে। সবগুলো ডাকঘরের নিজস্ব কোন ভবন নাই। সোনাতন পদ্ধতির আওতায় এখনও ডাকঘর গুলোর কার্যক্রম কোন না কোন ব্যক্তির খানকা ঘরে বা দোকানে পরিচালিত হয়ে আসছে। অল্প পরিসরে হলেও এখন ডাকঘরের মাধ্যমে টিঠিপত্র লেনদেন হয়ে আসছে। শান্তিরাম গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, কালিতলা ডাকঘরটি কোথায় আজও আমি জানি না। চিঠিপত্র আসলে ফোন দিয়ে চিঠিপত্র সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তার দাবি প্রতিটি ইউনিয়ন ভবনের একটি নিদিষ্ট কক্ষে ডাকঘর চালু করা ইউক। উপজেলা ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার নুরুল হুদা আকন্দ জানান, অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে ভেঙে যাওয়া ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি পড়ে মুল্যবান কাগজ পত্রাদি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com