শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ সুন্দরগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ী চক্রের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। এমনকি কলেজ শিক্ষকও ওই চক্রের ফাঁদে পড়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের হয়রানির কারণে মামলার আসামী হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পরিবার।
জানা গেছে, সুন্দরঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই দাদন ব্যবসায়ীদের দাপটে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, চাকুরিজীবীরা সাংসারিক কাজের জন্য অনেকে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদনের টাকা নেয়। অনেক চাকুরিজীবী তাদের নামীয় ব্যাংকের চেক বইয়ের পাতা দিয়ে দাদনের টাকা গ্রহণ করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় অনেক দাদন ব্যবসায়ী। নির্ধারিত তারিখে দাদনের টাকা দিতে সময়ের হেরফের হলে তাদের চাহিদা মত টাকার অংশ লিখে ব্যাংক শাখায় জমা দিয়ে চেক ডিজ অনার করে নেয়। এই কাজে দু’একজন ব্যাংক কর্মকর্তাও সহযোগিতা করেন বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। চন্ডিপুর গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সীচা গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিন ডাকুয়ার ছেলে দাদন ব্যবসায়ী শাহ আলম ডাকুয়া ওরফে মিঠু সোনালী ব্যাংক লিঃ সুন্দরগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ৫১১০০০২১০১১১৯ এর অনুকুলে ৬ লাখ টাকার চেক ডিজ অনারের অভিযোগ এনে গাইবান্ধা সহকারী জজ আদালত-২ এনআই এ্যাক্ট সেকশনে একটি মামলা দায়ের করেন (নং ৩৩০/২০)। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, উল্লেখিত হিসাব নং ও সিরিজ বিহীন চেক নং ৬৪৮৯৯২৫ পাতাটিও তার নামীয় নয়। এব্যাপারে ব্যাংক হিসাবটি আবুল কালাম আজাদের নয় বলে ওই ব্যাংকের ম্যানেজার জ্যোতির্ময় সরকার প্রত্যয়ন করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে।