শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঁঙ্গনে দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঁঙ্গনে দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ উপজেলায় তিস্তার ভাঁঙ্গন অব্যাহত থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। কোনো ভাবে ভাঁঙ্গন মোকাবেলা করতে না পাড়ায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত ২৪ দিনের ভাঁঙ্গনে ছয় শতাধিক বসত বাড়িসহ হাজার হাজার হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঁঙ্গনের মুখে পড়েছে আরও হাজার বসতবাড়ি এবং আবাদি জমি। স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধকল সেরে উঠতে না উঠতেই উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, কঞ্চিবাড়ি ও বেলকা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার লাগামহীন ভাঁঙ্গন চরবাসীকে নাকাল করে তুলেছে। আতঙ্কিত করে তুলেছে কাইম অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকেও। ভাঁঙ্গনের কারণে প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি সরিয়ে অন্যত্র সরে যাওয়া যেন চরবাসীর জন্য অসহনীয় কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শ্রীপুর ইউনিয়নের পুঠিমারী গ্রামের রমজান আলী জানান, ৫০ বছর বয়সে তিনি ১০ বার নদী ভাঁঙ্গনের শিকার হয়েছেন। চলতি বছরেও তিনি ২ বার নদী ভাঁঙ্গনের স্বীকার হন। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি আর নদী ভাঁঙ্গন মোকাবেলা করতে পারছেন না। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন আহমেদ আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, জন্মগত ভাবে নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজে। আমি জানি নদী ভাঁঙ্গনের কী কষ্ট ও জ্বালা যন্ত্রণা। নদী ভাঁঙ্গন রোধে নদী ড্রেজিংসহ সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মজিবর রহমান জানান, নদী ভাঁঙ্গন রোধ, সংস্কার, সংরক্ষণ আসলে বৃহৎ প্রকল্পের প্রয়োজন। এ কাজটি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দরকার। তবে এর মধ্যে ৪শ ৬ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান, ইতিমধ্যে আমরা ভাঁঙ্গন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছি বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে মহান সংসদে নদী ভাঁঙ্গন বিষয়ের উপর জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ উপস্থাপন করা হয়। জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সুন্দরগঞ্জের নদী ভাঁঙ্গন রোধ প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নদী ভাঁঙ্গন রোধ, বাঁধ সংস্কার ও সংরক্ষণ বাবদ ৪শ ৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com