মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার বালু চরে সবুজের ছায়া

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার বালু চরে সবুজের ছায়া

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ধু-ধু বালু চর যেন ঢেকে গেছে সবুজের ছায়ায়। ভরা তিস্তা এখন মরায় পরিনত হয়ে ফসলি জমিতে রুপ নিয়েছে। নানাবিধ সবুজ ফসলের সমাহারে ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল। তিস্তার গর্ভে জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন চরে ফিরে এসে পুনরায় চাষাবাদে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। তিস্তার বালু চরে এখন আলু, ভূট্ট, মরিচ, পিঁয়াজ, বেগুন, বাদাম, রসুন, সরিষা, তিল, তিশি, নানাবিধ শাকসবজিতে ভরে উঠেছে। উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের মোবারক আলী জানান, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে তিনি ৪ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ, মরিচ, আলু ও রসুন চাষাবাদ করেছে। এতে তার খরচ হয়েছে, প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি ২০ হাজার টাকার আলু ১০ হাজার টাকার পিঁয়াজ, ১০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছে। তিনি আশা করছেন আগামি ছয় মাস এই ফসলের টাকা দিয়ে সংসার চালাবেন এবং লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎসহ কৃষি। পাশাপাশি গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি ও কবুতর পালন করে আসছে তারা। তিস্তার গতি পরিবর্তন হয়ে অসংখ্য শাখা নদীতে পরিনত হয়েছে। তিস্তার ধু-ধু বালু চর এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চরের কৃষকরা পরিজন নিয়ে জমিতে নানাবিধ ফসল ফলাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর সিংহ ভাগ চাষাবাদ হয়েছে, তিস্তার চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলের হাজারও হেক্টর জমি এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। বর্ষাকালে পলি জমে যাওয়ায় চরের জমিগুলো অত্যন্ত উর্বর। সে কারণে সব ফসলের ফলন ভাল হচ্ছে। চরাঞ্চল এখন চরের কৃষকদের জন্য আর্শিবাদ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com