শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অসময়েও ঠেকানো যাচ্ছে না তিস্তার ভাঙন। অব্যাহত ভাঙন মোকাবেলা করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরবাসী। গত ২০ দিনের ভাঙনে হাজারও একর জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে উজানে ভাঙনের মুখে হাজারও একর আবাদি জমি। ২০১৯ সালের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যার ধকল সেরে উঠতে না উঠতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার উজানে লাগামহীন ভাঙন চরবাসীকে নাকাল করে তুলেছে। ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত চরবাসীরকে অসহনীয় কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে।
পানি কমে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। যতই পানি কমছে ততই ভাঙন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের কানিচরিতাবাড়ি, মাদারিপাড়া, চর হরিপুর, পাড়াসাধুয়া, লালচামার, পুটিমারী, কেরানির চর, পকিড়ের চর, কালাইসোতার চর এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২০ দিনের অব্যাহত ভাঙনে হাজারও একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হরিপুর ইউনিয়নের কানিচরিতাবাড়ি গ্রামের গিয়াজ মিয়া জানান, ৬৫ বছর বয়সে তিনি ২৫ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। গত বছরে তিনি ৪ বার নদী ভাঙনের স্বীকার হন। পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি আর নদী ভাঙন মোকাবেলা করতে পারছেন না। আমার বয়সে আমি কখনও পৌষ মাসে নদী ভাঙন দেখিনি। গত ৩ হতে ৪ বছর ধরে এ অবস্থা শুরু হয়েছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজে। আমি জানি নদী ভাঙনের কষ্ট এবং জ্বালা যন্ত্রণা। নদী ভাঙন রোধে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদী ভাঙন রোধ, সংস্কার, সংরক্ষণ আসলে বৃহৎ প্রকল্পের প্রয়োজন। এটি আসলের সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবে এর মধ্যে ৪০৬ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, বর্তমানে তিস্তার উজানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে শুধু আবাদি জমি ভাঙছে।