শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

সাদুল্লাপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক চার কিলোমিটারে ২২ বাঁক, সড়ক যেন মরণফাঁদ

সাদুল্লাপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক চার কিলোমিটারে ২২ বাঁক, সড়ক যেন মরণফাঁদ

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়টি সম্প্রতি প্রশস্থকরণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। তবে অসংখ্য বাঁকে এই সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে চার কিলোমিটারের মধ্যে ২২টি এবং এক কিলোমিটারের রয়েছে ১০টি বাঁক। আঁকাবাঁকা এ পথে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কাসহ যানবাহনের অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ বাড়ছে। একই সঙ্গে পথচারীদের নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সময়ও। গত শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই সড়কের সাদুল্লাপুর শহর থেকে খোর্দ্দরুহিয়ার জামলারজান ব্রিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটারে ২২ স্থানে বাঁক রয়েছে। এর মধ্যে খোর্দ্দরুহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে খোর্দ্দরুহিয়া পুর্বপাড়ার মোস্তা মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটারে আছে ১০টি বাঁক। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এই মোড়গুলো দিয়ে চলতে গিয়ে একেবারই এপাশ থেকে ওপাশ চোখে পড়ে না। এতে করে যানবাহনগুলো মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে সচেতন মানুষের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এই সড়কটি একসময় সরু ছিলো। রংপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের প্রবেশ দ্বার হওয়ায় ইতোমধ্যে সড়কটি প্রশস্থ করা হয়েছে। শুধু তায় নয়, কুড়িগ্রামের চিলমারী হয়ে সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলার শহরের ভেতর দিয়ে ধাপেরহাটের জাতীয় মহাসড়ক পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে নির্মাণ কাজও চলমান রয়েছে। আর এই কাজটি শেষ হলে সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট সড়ক দিয়ে হাজারো দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করবে। ফলে যানবাহনে ব্যস্ত হবে সড়কটি। কিন্তু উল্লেখিত চার কিলোমিটারের মধ্যে ২২টি বাঁক সোজা করা না হলে হরহামেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা। আজহারুল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের পর সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট সড়কটি উন্নয়নে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে সওজ বিভাগ। এরপর ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়। কিন্তু অসংখ্য আঁকাবাঁকা মোড়ের কারণে দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ওই বাঁকা স্থানগুলো সোজা করা দরকার।
সাদুল্লাপুর থেকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে প্রায়ই ধাপেরহাট দিয়ে মহাসড়কে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয় বলে জানালেন গোফফার মিয়া নামের ট্রাক চালক। তিনি বলেন, খোর্দ্দরুহিয়া এলাকায় অসংখ্য বাঁকের কারণে গাড়ি ধীরে চালাতে হয়। এতে করে একদিকে সময় ও জ্বালানির অপচয় অন্যদিকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শাহীন মন্ডল নামের এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বলেন, সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট সড়কে ঘনঘন বাঁকে পড়ে আতঙ্ক পোহাতে হয়। বিভিন্ন স্থানে এতোই আঁকাবাঁকা যে- এপাশ থেকে ওপাশের যানবাহন দেখা দুষ্কর। সরকারের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে এই সড়ক সোজা করা অত্যান্ত জরুরি। তখন যানবাহনগুলো নিরাপদে চলাচল করতে পারতো।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com