শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু মৌসুম সময়ে করোনার কারণে এবং জেলা শহর লকডাউন ঘোষণা করায় হাট-বাজারগুলোতে বাইরে থেকে মরিচের ক্রেতা আসছে না। ফলে চাষিরা কাঁচা মরিচের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না।
জানাযায়,সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে কাঁচা মরিচে ভরপুর মাঠের পর মাঠ। যত দুর চোখ যায় চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক নিয়ে আসেন, গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ির ‘চরাঞ্চলের মরিচ ও বিভিন্ন সবজি পাইকারি কিনতে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উচ্চ ফলনশীল জাতের মরিচ চাষের জন্য বালুময় চর উর্বর মাটি। কম পরিশ্রমে অনায়াসে এক বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ শুকনা মরিচ উৎপাদিত হয়। জমি তৈরী, পরিচর্যাসহ সব মিলিয়ে খরচ বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর মরিচ বিক্রি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। মরিচ চাষীরা সরকারীভাবে সংরক্ষন সুবিধা দাবি জানান।দেশী মরিচের তুলনায় হাইব্রিড জাতের মরিচে বেশী ফলনও ভালো দাম পাওয়ায় এ জাতের মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা। বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মন দরে বেচা কেনা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণে জেলা লকডাউন ঘোষণার ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার অভাব দেখা দেওয়ায় দাম পড়ে যাওয়ায় । কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। তবে এ সংকট কাটিয়ে ভাল দাম পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন চাষীরা।
গাইবান্ধার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মাসুদুর রহমান জানান,এবার ১২’শ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কৃষকের প্রচেষ্টায় তা ছাড়িয়ে গেছে। এবার ফুলছড়ি, সাঘাটাসহ গাইবান্ধার ৭ উপজেলা সর্বমোট ১৪ শ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিচলী এবং বিচলী প্লাসসহ ৩শ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচের চাষ করা হয়েছে ।