শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন

সাঘাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার জরুরী

সাঘাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার জরুরী

ভ্রামমান প্রতিনিধিঃ সাঘাটায় তিন হাজার মানুষের বসবাসের ঠিকানা এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। নিজস্ব জায়গা জমি ও বসতভিটা না থাকায় এই সব পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাস করছেন। সরকারি অথবা বেসরকারি ভাবে আজও তাদের স্থায়ী ভাবে বসবাসের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। জরুরী বাঁধ সংস্কার দরকার তা না হলে আসছে বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে পশ্চিম পার্শ্বে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
জানাগেছে, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় গ্রাম হতে জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বসন্তের পাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে দীর্ঘ দিনে সংস্কার হয়নি। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে বাঁধটি। আসছে বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে পশ্চিম পার্শ্বে ৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদী ভাঙ্গনের শিকার প্রায় তিন হাজার পরিবার অতি কষ্টে বসবাস করছেন। এছাড়া সাঙ্কিভাঙ্গা, ভাঙ্গামোড়, মুন্সির হাট ও ভরতখালী এলাকায় কয়েকটি বাঁধে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির পূর্বাংশে বিভিন্ন গ্রামে অথবা কোনো চরে স্থায়ী বসবাস ছিলো এসব মানুষের। তাদের ছিলো ঘর-বাড়ি,বসতভিটা, আবাদি জমি, গোয়াল ভরা গরু,গোলাভরা ধান। কিন্তু উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে এসব মানুষের জায়গা জমি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী গর্ভে বাড়ি-ঘর,বসতভিটা হাড়িয়ে নিঃস্ব এসব মানুষ। নিরুপায় হয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন স্থানে মাথা গোজার ঠাঁই নিতে থাকেন। এভাবে বাঁধে গড়ে ওঠে জনবসতি। তাদের নিজস্ব জায়গা জমি অথবা সরকারী ভাবে কোনো ঘর-বাড়ির ব্যবস্থা না থাকায় নিরুপায় হয়েই এসব পরিবার বাঁধেই বসবাসের ঠিকানা গড়েছেন। এসব পরিবাবের স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য পূণঃ সংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তারা একটা স্থায়ী ঠিকানা পাবে সেই সঙ্গে বাঁধটিও হুমকীর হাত থেকে রক্ষা পাবে। এদিকে দ্রুত এই বাঁধগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে, বাঁধ সংস্কারের আস্বাশ দিলেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com