শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সাঘাটা প্রতিনিধিঃ যমুনার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী, হলদিয়া, জুমারবাড়ী, সাঘাটা, ঘুড়িদহসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার পানি বন্দি মানুষের মধ্যে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সাঘাটা ইউনিয়নের মুন্সিরহাট বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধঁটি ভাঙ্গনের চরম হুমকির মুখে। এছাড়াও ভাঙনের কবলে পড়েছে হলদিয়া, কচুয়া, সাঘাটা, ঘুড়িদহ ও কামালেরপাড়া ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ভিটে মাটি হাড়িয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়ন কেন্দ্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ আশ্রয় নিয়েছে। অন্যত্র আশ্রিত মানুষের মধ্যে এবং পানি বন্দি মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্যসহ জাল্বানীর সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের কাজকর্ম না থাকায় তারা পরিবার পরিজনের খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় উঠতি ফসল পাট, শাকসবজি আমনের বীজতলাসহ হাজার হাজার বিঘার জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বেঙ্গারপাড়া গ্রামের পানিবন্দি কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান আমি নিজেও পানি বন্দি হয়ে পড়েছি এবং আমার পাটের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি। সরকারি ভাবে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রি পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জুমারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়নে প্রায় ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ত্রাণ সামগ্রী পাইনি।