শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

সাঘাটার মরা বাঙালি নদীর কুমিরদহ জলমহালটি প্রভাবশালীদের দখলে

সাঘাটার মরা বাঙালি নদীর কুমিরদহ জলমহালটি প্রভাবশালীদের দখলে

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পবনতাইড়, হলদিয়া, জুমারবাড়ি ও চিনিরপটল মৌজার মরা বাঙালি নদীর কুমিরদহ জলমহালটি মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জবর দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে ওই এলাকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিভূক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪শ’ ৫০ জন প্রকৃত মৎস্যজীবী পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরকারের এতদসংক্রান্ত ‘জাল যার- জলা তার’ এই নীতি অনুসারে ৩৮.১০ একর বিস্তৃত এই জলাশয়টিতে ৩২ বছর যাবত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। কিন্তু ২০১০ সালে প্রভাবশালী জোরদার শামীম মিয়াসহ পার্শ্ববর্তী তার সহযোগী লোকজনরা ওই জলাশয়টি দখল করে নেয়। ফলে মৎস্যজীবী সমিতির নামে লীজ বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দিয়েও ওই জলাশয়টির দখল পায়নি। এব্যাপারে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টে মৎস্যজীবীরা তাদের পক্ষে রায় পেলেও এখন পর্যন্ত প্রভাবশালীদের দাপটে জলাশয়ে মাছ ধরতে পারছে না অসহায় মৎস্যজীবীরা। ফলে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জুমারবাড়ি ও ঘুড়িদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি জোসনা চন্দ্র দাস, সম্পাদক মোংলা রাম দাস এবং সদস্য রমেশ চন্দ্র দাস ও বাদল চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে ১৪২০ সালের জমাকৃত উক্ত লীজ মানির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪২৬ ও ১৪২৮ সালের জন্য মরা বাঙালি নদীর কুমিরদহ জলমহালটি ৪শ’ ৫০ জন মৎস্যজীবীকে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানানো হয়। দীর্ঘদিন জলমহাল না পেয়ে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা এবং প্রভাবশালীদের হুমকি মোকাবেলায় সংখ্যালঘু মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি আপিল বোর্ডের ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে চিনিরপটল গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অসহায় মৎস্যজীবী পরিবারদের মধ্যে খগেন্দ্র নাথ দাস, বিনয় চন্দ্র দাস, সুধারাম দাস, বাসন্তি রাণী, ঝর্না দাস, সন্ধ্যা দাস, রুমা দাস, মাধরী দাস, লতা চাকি, সোনালী চন্দ্র দাস, নিশি রাণীসহ অন্যান্যরা তাদের করুণ অবস্থা তুলে ধরেন এবং এর প্রতিকার দাবি করেন। তারা জানান, প্রভাবশালীদের দাপটে জলমহালটিতে মাছ ধরতে না পারায় তারা এখন পাইকারদের কাছ থেকে মাছ কিনে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করে অর্ধাহারে অনাহারে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com