শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

শীতে বেড়েছে খেঁজুর রসের কদর

শীতে বেড়েছে খেঁজুর রসের কদর

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে আশ্বিন মাস থেকে সাধারণত শুরু হয় খেজুরের রস সংগ্রহ। তবে পৌষ ও মাঘ মাসে সবচেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়। পৌষের শেষে মাঘ প্রথমে এসে শীতের তীব্রতা এখন চরমে পৌঁছেছে। উত্তর জনপদ গাইবান্ধায় বরাবরের মত এই সময়ে কদর বেড়েছে খেঁজুর রসের। কারণ এই দুই মাসে শীতের প্রকোপ থাকে সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়া যত ঠান্ডা থাকে, রসও তত বেশি পাওয়া যায় ।
গাছে ধরা খেঁজুরে আগ্রহ কম থাকলেও শীতে মূল্যবান হয়ে ওঠে খেঁজুর গাছের ভেতরের মিষ্টি রস। গাছিরা গৃহস্থের কাছে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতায় নামেন। তিন চার মাসের ব্যবসা, কিন্তু লাভের অংক যথেষ্টই ভাল। পুরো মৌসুমের জন্য গাছ ডেকে নেন তারা। প্রথম দিকে পরিচর্যার সামান্য কাজ থাকলেও পরে পাত্র ঁেবধে রস সংগ্রহ করে বিক্রি করেন সংশ্লিষ্টরা। রীতিমত ঘর তুলে গাছের কাছাকাছি বসবাস শুরু হয় তাদের এই মৌসুমেই।
শীতে মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত হলো খেজুর রস। শীতকালের সঙ্গে খেজুর রস ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। কনকনে শীতের সকালে একগ্লাস ঠান্ডা রস শরীরে এনে দেয় সজীবতা। গ্রামে শীতকালের সকালটা খেজুর রস ছাড়া যেনো জমেই না। খেজুর রস আর গুড় দিয়ে গ্রামাঞ্চলের বাড়িতে বাড়িতে জমে ওঠে নানা পদের পিঠা বানানোর ধুম। ভাপা, পুলি, সিদ্ধপুলি, মালপোয়া, লালুয়া, রসের চিতইয়ের মতো বহু রকম পিঠা। আর এ সময় খেজুরের রসের পায়েশের ম ম ঘ্রাণে মোহিত হয় গ্রামের পরিবেশ।
হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতকে হাড় মানিয়ে খেঁজুরে রসের স্বাদ নিতে কোন কমতি নেই সকল বয়সের মানুষের। তাই এই রসের স্বাদ নিতে সকাল সকলে ঘুম থেকে উঠে খেজুরের রসওয়াদের জন্য অপেক্ষা করেন শিশু-বৃদ্ধ নারী-পুরুষ বয়সের মানুষ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com