বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন

শাখা ডাকঘরে মোবাইল মানি অর্ডার চালু না হওয়ায় সেবাবঞ্চিত মানুষ

শাখা ডাকঘরে মোবাইল মানি অর্ডার চালু না হওয়ায় সেবাবঞ্চিত মানুষ

স্টাফ রিপোর্টারঃ ডাক বিভাগের মোবাইল মানি অর্ডারে (ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস-ইএমটিএস) প্রতি হাজারে মাত্র ৫ টাকা কমিশন হলেও গাইবান্ধার ১৪৪টি শাখা ডাকঘরে এই সেবা চালু না করায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
ডাক বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, মোবাইল মানি অর্ডারে (ইএমটিএস) ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ১০ টাকা, ৩ হাজারে ১৫, ৫ হাজারে ২৫, ৭ হাজারে ৩৫, ১০ হাজারে ৫০, ১৫ হাজারে ৭৫, ২০ হাজারে ১০০, ২৫ হাজারে ১২৫, ৩০ হাজারে ১৫০, ৪০ হাজারে ২০০ ও ৫০ হাজার টাকায় ২৫০ টাকা কমিশন নেয় ডাক বিভাগ। যা গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘর, জজ কোর্ট ডাকঘর, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা ডাকঘর, নলডাঙ্গা, বামনডাঙ্গা, মহিমাগঞ্জ, বোনারপাড়া, ভরতখালী উপ-ডাকঘর, নাকাইহাট ও কাজলা ডাকঘরসহ মোবাইল মানি অর্ডার করা যাবে সারাদেশের ২ হাজার ৭৫০টি ডাকঘরে। শুধু প্রধান ডাকঘরের দেয়ালে একটি ব্যানার টানানো ছাড়া আর কোন প্রচারণা চোখে পড়েনি এই সেবার।
সদর উপজেলার ধুতিচোরা গ্রামের স্কুলছাত্র মিজানুর রহমান বলেন, বাবা নারায়নগঞ্জে শ্রমিকের কাজ করে গ্রামের বাড়ীতে টাকা পাঠান বেসরকারি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ফলে বেশি টাকা কমিশন দেওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।
অবিভাগীয় ডাক কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র মোদক বলেন, শাখা ডাকঘরগুলোতে সেবাটি চালু না করায় লেনদেন করতে পারছে না মানুষ। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সরকারের এই সেবা না পৌঁছায় অল্প আয়ের মানুষ ও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তাই অতিদ্রত শাখা ডাকঘরেও এই সেবা চালু করার জোড়দাবি জানান ডাকবিভাগের এই নেতা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরের পোষ্ট মাষ্টার মহিদুল ইসলাম বলেন, শাখা ডাকঘরগুলোতে মোবাইল মানি অর্ডার সেবা চালু করলে বেশি উপকৃত হবে অল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। শাখা ডাকঘরগুলোতে এই সেবা চালু করা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। মোবাইল মানি অর্ডারের বিষয়টি প্রচারের জন্য কোন লিফলেট ও অর্থ না পাওয়ায় প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com