শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ এবার নতুন করে আলোচনায় পোড়া চা। মুখরোচক এই চায়ের গল্প এখন সবার মুখে মুখে। এই চায়ের ঘ্রাণে ফয়জার মিয়ার দোকানে ছুটছে মানুষ।
জেলা সদরের বোয়ালী ইউনিয়নের মধ্য রাধাকৃষ্ণপুর নামক স্থানে ফয়জারের স্টলে গিয়ে দেখা গেল চা পিপাসুদের ভিড়। পোড়া চায়ের গ্রাহক বেড়ে যাওয়ায় উন্মুক্ত জায়গায় বসানো হয়েছে কাঠ-বাঁশের টং বা মাঁচা। একাধিক লম্বা এই টঙয়ে বসে মাটির কাপে চায়ের চুমুক দিচ্ছেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়জার রহমান (৬০) জীবিকার তাগিদে প্রায় ৩ যুগ ধরে চা বিক্রি করে সংসার চালান। এরই ধারবাহিকতায় এক বছর আগে নতুনভাবে শুরু করেন পোড়া চা বানানোর কাজ। চুলায় তাওয়া বসিয়ে এর ওপর পোড়ানো হয় মাটির কাপ। সেই কাপে ঢালা হয় গরম চা। ঘন দুধ-চা পাতা আর মাটির পোড়া গন্ধে ভিন্ন স্বাদ তৈরি হয় চা। এই চা সকাল শুরু করে রাত ১১টা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। প্রতি কাপ চা বিক্রি হয় ২৫ টাকা। নাম দিয়েছেন পোড়া মালাই চা। এর পাশাপাশি পোড়া চা ১০-১৫ টাকা দামেও বিক্রি করেন ফয়জার। গাইবান্ধা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই চায়ের স্টলটি রাস্তার পাশে অবস্থিত। রয়েছে ৭ জন কর্মচারী।
গোবিন্দগঞ্জ থেকে পোড়া চা পান করতে আসা একরামুল হক বলেন, লোকমুখে শুনে চা খেতে এসেছি। নতুন স্বাদের চা খেয়ে বেশ মজা পেলাম। ঘন দুধ, চা পাতা, পোড়া মাটির গন্ধ মিলেমিশে নতুন একটা স্বাদ পেলাম। গরম মাটির ভাড় টিস্যু পেপার বা রুমালে জড়িয়ে ধরে চায়ে চুমুক দিতে হয়। তবে ভিড়ের কারণে চা অর্ডার দিয়ে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু জানান, ফয়জার মিয়া দীর্ঘদিন ধরে চা বিক্রি করছে। তবে এখন শুরু করেছে পোড়া চা বিক্রি। এই চা অত্যান্ত মজাদার। তার এই ব্যবসায় গাইবান্ধা জেলাকে আরও পরিচিত বাড়িয়ে দিচ্ছে।