শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

যমুনার ভাঙনে হুমকির মুখে মুন্সীরহাট

যমুনার ভাঙনে হুমকির মুখে মুন্সীরহাট

স্টাফ রিপোর্টারঃ যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে সাঘাটা উপজেলার মুন্সীরহাট ও বাজারসহ আশপাশের এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। এবারের বন্যায় প্রায় ৩শ’ মিটার এলাকা ভেঙে গিয়ে মুন্সীরহাট ও বাজার আক্রমণ করেছে।
ইতোমধ্যে বাজারের কিছু অংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। এমতাবস্থায় অতিদ্রুত সংস্কার না করা হলে পুরো বাজার এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিন্ডারগার্টেন, মসজিদ, বসতবাড়িসহ ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। পাশাপাশি দক্ষিণ পাশের সাথালিয়া এবং সাঘাটা বাজারও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাথালিয়া, উত্তর সাথালিয়ার ফ্লাড সেন্টার, গোবিন্দী, হাটবাড়ি, বাঁশহাটা, হাসিলকান্দি মৌজার প্রায় ২০০ পরিবারের ঘরবাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার এসব পরিবার তাদের সহায়-সম্বল নিয়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এছাড়া পাতিলাবাড়ি, গাড়ামারা, সিপি গাড়ামারা, কানাইপাড়া, নলছিয়া, কালুরপাড়া, কুমারপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটবাড়ি, গোবিন্দি, উত্তর সাথালিয়া, দক্ষিণ সাথালিয়া, চিনিরপটলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
ফলে হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি ও সাঘাটা ইউনিয়নের উত্তর সাথালিয়া গ্রামের ২টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
মুন্সীরহাট বাজার এলাকার আবু তালেব মিয়া জানান, ভাঙনের কারণে তার ঘরবাড়ি পরপর চারবার সরানো হয়েছে। আবারও নদী ভাঙনের শিকার হওয়ায় তিনি পথে বসেছেন।
স্কুলশিক্ষক মোতালেব হোসেন বলেন, নদীভাঙন রোধে কোনো কাজ অতিদ্রুত না করা হলে এলাকাগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অনেকে হয়ে পড়বেন ভিটেমাটি হারা। সেই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী মুন্সীরহাটসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে সাঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, এবার যমুনা নদী ভাঙনে উত্তর সাথালিয়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবারের ঘরবাড়ি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই সব পরিবার এখন বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে গেছেন।
হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রধান জানান, বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে এ ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি কমলেও এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বন্যার সময় কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে। তবে ওই সব জিওব্যাগ ফেলা এলাকাগুলো ধসে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এলাকাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com