শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের দু’পাশের সড়ক দুটি রেলক্রসিংয়ে রেলগেট না থাকায় তা অরক্ষিত ॥ বড় দুর্ঘটনার আশংকা

মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের দু’পাশের সড়ক দুটি রেলক্রসিংয়ে রেলগেট না থাকায় তা অরক্ষিত ॥ বড় দুর্ঘটনার আশংকা

স্টাফ রিপোর্টারঃ বোনারপাড়া-সান্তাহার রেল সেকশনের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রেলস্টেশনের দু’পাশের গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম দুটি সড়কের রেল ক্রসিংয়ে কোন রেলগেট নাই। ফলে এই সড়ক দুটি দিয়ে পথচারী ও যানবাহনে রেল লাইন পারাপার এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উলে¬খ্য, মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকার মধ্যে অবস্থিত দু’দিকের দুই হোম সিগন্যালের ধার ঘেষে রেল লাইন অতিক্রম করা সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় যানবাহন ও সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। অথচ রেল কর্তৃপক্ষ এই দুটি সড়কে কোন রেলগেট স্থাপন করেনি বা গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনের পূর্বদিকে বাঙ্গালী নদীর কারণে পাশর্^বর্তী সাঘাটা উপজেলার কচুয়া, কামালেরপাড়া ও জুমারবাড়ীসহ বেশ ক’টি ইউনিয়নের লোকজন মহিমাগঞ্জে হেঁটে যাতায়াত করতে পারতো। তখন স্বাভাবিকভাবেই কম সংখ্যক লোকজন এ পথ দুটি ব্যবহার করতো। কিন্তু গত এক দশকে দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে এখানকার রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। এ কারণে স্টেশনের পূর্বদিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙ্গালী নদীর উপরে সেতু নির্মাণ হওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার মধ্যে সংযোগের সৃষ্টি হওয়ায় এ পথে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ দুটি সেতুর উপর দিয়ে চলাচলের জন্য রাস্তা দুটি পাকা হওয়ায় রেলগেট দুটিরও গুরুত্ব বেড়ে গেছে অনেক গুণ। লালমনিরহাট-বোনারপাড়া-সান্তাহার রেল রুটের এ পথে এখন প্রতিদিন ১৬টি ট্রেন যাতায়াত করে। এ কারণে স্টেশনের দক্ষিনে সোনাতলার দিকের জিরাই এলাকার একটি (নং-টি/৫০) ও উত্তর পাশের্^র বোনারপাড়ার দিকের বামনহাজরা এলাকার একটি (নং-টি/৫১) অরক্ষিত দুটি রেলগেট অতিক্রম করে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়েই বাধ্য হয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। সবচেয়ে আশংকার বিষয় হচ্ছে, পদ্ধতিগত কারণে মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনটি ইংরেজি ‘ইউ’ আকৃতির মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত হওয়ায় একেবারে কাছে না আসা পর্যন্ত কোন ট্রেনকেই দেখতে পাওয়া যায়না। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথের পথচারী ও যানবাহনকে রেলগেট দুটি অতিক্রম করতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে রেলগেট দুটির পাশে একটি ফলকে লিখে রেখেছে, ‘এই রেলক্রসিং-এ কোন গেটম্যান নাই। যাত্রী সাধারণকে নিজ দায়িত্বে পারাপার করতে হবে’। বর্তমানে ফলক দুটিও ময়লায় ঢেকে যাওয়ায় মানুষের চোখে আর পড়েনা।
এতদঞ্চলের সচেতন এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চল রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশন কর্তৃপক্ষ বরাবরে সম্প্রতি এই রেলক্রসিং দুটিতে জরুরী ভিত্তিতে রেলগেট স্থাপন ও গেটকীপার নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com