শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গাইবান্ধায় নদ-নদীগুলোর পানি কমতে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চলগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। ফলে এসব এলাকার যেসব পরিবার বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছে। যারা এখনও ফিরে যেতে পারেনি তারা দু’একদিনের মধ্যে ফিরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যায় সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি এখনও চুড়ান্ত নিরূপন করতে পারেনি। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনের কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৯৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতির হিসাব তুলে ধরেছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৬টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ২৬৭টি গ্রাম এবারের বন্যায় প¬াবিত হয়েছে। এতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৪১০ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬০০ মে. টন চাল, খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের ৯ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এছাড়া শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ প্যাকেট। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩ সেঃমিঃ ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।