শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় নানা গুজবে সর্বক্ষেত্রে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে এখন লোকজন আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রেতা নেই, সড়কগুলো আগের তুলনায় অনেক ফাঁকা। রিক্সা এবং অটোবাইকগুলোতে যাত্রী না থাকায় আয় কমে যাওয়ার কারণে শহরে অটোরিক্সা, অটোবাইক, সিএনজির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ফলে যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে ট্রেন ও বাসেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কমে গেছে। সেইসাথে ১০ টাকা মূল্যের শপিং ব্যাগ কেটে ৬ থেকে ৮টা মাস্ক তৈরী করা হচ্ছে। প্রতিটি মাস্ক ১০ থেকে ১৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ হবে কিনা না জেনে শুনেই একধরণের ভীতি থেকে মানুষ এগুলো কিনে ব্যবহার করছে। এদিকে চা, মিষ্টি ও খাবারের দোকানগুলোতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে দোকানগুলোতে আগেরমত আর ক্রেতাদের আড্ডা জমছে না।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এই আশংকায় সংকুচিত মানুষ প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, সয়াবিন তেল, ময়দা, দুধ, পিয়াজ, রসুন, মরিচসহ মসলা জাতীয় পণ্য গত শুক্রবার ও শনিবার থেকেই ব্যাপকহারে ক্রয় করতে শুরু করেছে। এতে বাজারের দোকানগুলোতে প্রচন্ড ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এই সুযোগে সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ২০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ও আদা প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ডাল প্রতিকেজি ১০ থেকে ২০ টাকা, ছোলা প্রতিকেজি ২০ টাকা এবং চাল প্রতিকেজি ৮ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।