বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ পলাশবাড়ীতে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত অসহায় ও দরিদ্র নারী শ্রমিকরা। প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী অনেক ইউনিয়নই শ্রমিক নিয়োগ করা হয়নি। অতি দরিদ্রের কথা চিন্তা করে সরকার শ্রমিকের মজুরী ২’শ টাকার পরিবর্তে ৪’শ টাকা করলেও কাজ করছেনা অনেক শ্রমিক এবং দরিদ্র ব্যক্তিদের পরিবর্তে অনেক স্বচ্ছল ব্যক্তিদেরও নাম তালিকায় দেওয়া হয়েছে বলে বঞ্চিত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড় শিমুলতলা গ্রামে কর্মসৃজনের ২২ জন শ্রমিকের স্থলে ১৫ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। তবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পারুল বেগমের ৫ জন শ্রমিকের নাম তালিকায় দেওয়া থাকলেও আজ অবধি একজন শ্রমিকও কাজ করতে আসেনি বলে শ্রমিক সূত্রে জানা যায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ৬নং ওয়ার্ডের আসমতপুর গ্রামে ওই দলে ৪৭ জন শ্রমিক রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ জন শ্রমিককে উপস্থিত পাওয়া যায়। শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, উক্ত দলে কোন মহিলা শ্রমিক নেই। ওই দিনই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কিশোরগাড়ী (সুলতানপুর) গ্রামে শুধুমাত্র ১৪ জন পুরুষ শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। এছাড়াও তুলনামূলকভাবে নারী শ্রমিকদের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অসহায় নারীরা জানান। নারী শ্রমিকদের বঞ্চিত রাখার ব্যাপারে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর জানান, আমি নতুন মানুষ ওতোটা বুঝতে পারিনি। শ্রমিক উপস্থিতি কম থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা কাজ করবে না তাদের মজুরীর টাকা দেওয়া হবেনা। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অতি দরিদ্র কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ৩০% অসহায় মহিলা শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অত্র ইউপি সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে চলতি অর্থ বছরে অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পে ৩৪১ জন শ্রমিকের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হলেও শুধুমাত্র কাগজ-কলমেই তা সীমাবদ্ধ বলে প্রকৃত শ্রমিকরা দাবী করেন।