শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

দর্শকের অভাব ভালো ছবি তৈরী হচ্ছে না গাইবান্ধায় সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে

দর্শকের অভাব ভালো ছবি তৈরী হচ্ছে না গাইবান্ধায় সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার জেলা ও উপজেলা এমনকি বড় বড় হাট-বাজারে আগে ছিল জমজমাট সব সিনেমা হল। আর তখন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় সিনেমা হলগুলোতে দর্শক সংখ্যাও ছিল অনেক বেশী। প্রতিটি হলে সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায় ও রাতে আগে চারটি প্রদর্শনী চললেও প্রতিটি প্রদর্শনীতে নারী ও পুরুষ দর্শকে পরিপূর্ণ থাকতো। কিন্তু এখন সে অবস্থা আর নেই। সেজন্য দর্শক শূন্যতায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গাইবান্ধার সিনেমা হলগুলো। বন্ধ সিনেমা হলগুলো ভেঙ্গে ফেলে সেখানে তৈরী করা হচ্ছে আধুনিক সব বিপনী বিতান। এতে সিনেমা হলে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারি বেকার হয়ে এখন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
জেলার ৭টি উপজেলায় সিনেমা হল ছিল ৩২টি। এরমধ্যে জেলা শহরে ছিল ৩টি সিনেমা হল। আর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরে ছিল ৩টি এবং মহিমাগঞ্জে ৩টি, পলাশবাড়ি সদরে ২টি এবং এ উপজেলার কোমরপুরে ২টি ও ঢোলভাঙ্গায় ২টি, সাদুল্যাপুর সদরে ১টি, ধাপেরহাটে ২টি ও নলডাঙ্গায় ২টি, সুন্দরগঞ্জ সদরে ২টি, বামনডাঙ্গায় ২টি, সাঘাটা সদরে ২টি ও বোনারপাড়ায় ২টি, ফুলছড়ি সদরে ২টি, কালিরবাজারে ১টি ও জুমারবাড়িতে ১টি। এছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীতে ১টি ও দারিয়াপুরে ইতোপূর্বে ছিল ২টি সিনেমা হল।
কিন্তু দর্শক শূন্যতায় এখন এই জেলায় নিয়মিত সিনেমা হল চালু রয়েছে মাত্র ২টি। এরমধ্যে ১টি হচ্ছে জেলা শহরে তাজ সিনেমা হল আর অপরটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের হিরক সিনেমা হল। এছাড়া মাঝে মাঝে অনিয়মিতভাবে চলে আরও ৩টি হল। এগুলো হলো- পলাশবাড়ির কোমরপুর, সুন্দরগঞ্জে এবং সাঘাটার জুমারবাড়িতে একটি সিনেমা হল।
জেলার দুটি প্রাচীন সিনেমা হল মায়া ও চৌধুরী সিনেমা হল ভেঙ্গে এখন সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া চৌধুরী সিনেমা হলের মালিক আব্দুল মান্নান চৌধুরী জানালেন, সিনেমা হল বন্ধের অন্যতম কারণ হলো হলে এখন দর্শক চাহিদা পূরণ করার মতো ভালো মানের সিনেমা তৈরী হচ্ছে না। তদুপরি দেশী বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রতিদিন, একাধিক উন্নতমানের নতুন পুরাতন ছবি ঘরে বসেই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া এখন ইউটিউব, ইন্টারনেট থেকে সহজেই পছন্দ মতো সিনেমা নিজের মোবাইলে ডাউনলোডে দেখা যায়। এসব কারণেই সিনেমা হলে দর্শক আসে না। আর দর্শক চাহিদা না থাকায় অর্থ ব্যয় করে ভালো সিনেমাও বানাচ্ছে না পরিচালকরা। এ কারণেই সিনেমা ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসায় ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হচ্ছে সিনেমা হল মালিকরা।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com