শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

গোবিন্দগঞ্জে ৫০টি পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

গোবিন্দগঞ্জে ৫০টি পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টারঃ গোবিন্দগঞ্জের ৫০টি পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে দিনে-রাতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন। অবৈধ ভাবে নদী থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বাড়ী ঘর,রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, ব্রীজ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত বীরশহীদের গণকবরসহ ফসলী জমি, ৩৩ হাজার ভোল্ডের বিদ্যুতিক টাওয়ার।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার করতোয়া ও কাটাখালি নদীর ফুলবাড়ী ফুলবাড়ী ইউপির শাকপালা,হাওখানা- রঘুনাথপুর বাধেঁ, সামারা ইউপির চকরহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ, তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমস্ পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০টি পয়েন্টে চলছে ড্রেজার ও স্কাভেটর দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহন। এসব পয়েন্টে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টরের সারিবদ্ধ ভাবে আনা নেয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে। আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তঘাট নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য পড়েছে। অপরদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে, ড্রাম-ট্রাক চলচল করলেই ধুলা এলাকার বসতবাড়ীতে ঢুকে বাসাবাড়ীতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে। অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু নয় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে বে-পরোয়া ভাবে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করায় দুর্ঘটনাও ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তা, ঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নষ্ট হওয়ায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ পত্র নিয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে। আর বালু দস্যূরা অসাধু কিছু লোকের সাথে আতাত করে নির্বিচারে বালু ব্যবসা করে আসছে। এখন এ এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের নিরাপদ জায়গা হওয়ায় এখানকার বালু রংপুরের পীরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনে শুধু ক্ষতিই নয় সরকার কোটি-কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ইতিপূর্বে আমরা বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। এবং কিছু নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাঈদ সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী জোরদার অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com