শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে তার প্রেমিক ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে যাবার পথে গত রবিবার রাতে ৫ বখাটে যুবক কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই ৫ যুবককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক যুবকরা হলো- উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের মৃত নীল মাহমুদের ছেলে এনামুল হক (৩০), আজিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৩২), ভোলা মিয়ার ছেলে ধলু মিয়া (২৭), এজাদুরের ছেলে সুমন মিয়া (২৩) ও কাজি শাহারুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সুজন (২৮)। এ ছাড়াও ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী প্রেমিক শিমুল মিয়াকেও (২১) পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড় (ফকির পাড়া) গ্রামের ফরিদুল ইসলামের মেয়ে মহিমাগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে তার প্রেমিক পাশ্ববর্তী শিবপুর ইউনিয়নের গাছবাড়ি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে শিমুল মিয়া ফুসলিয়ে রবিবার রাতে পালিয়ে নিয়ে যাবার পথে পার্শ্ববর্তী হরিরামপুর ইউনিয়নের বড়দহ ব্রীজ সংলগ্ন নাওভাঙ্গ্ গ্রামে নিয়ে যায়। প্রেমিক শিমুলের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে ওই ৫ বখাটে যুবক শিমুলের কাছ থেকে তার প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা বখাটে ধলুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক রাত ১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এরপর ওই ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী তার প্রেমিক শিমুলকে সাথে নিয়ে রাত সোয়া ৩ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৌছে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। তাৎক্ষনিকভাবে গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই মামুনুর রশিদের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম ওই রাতেই প্রেমিকদ্বয়কে সাথে নিয়ে ধর্ষক ধলুর বাড়ি সনাক্ত করে এবং সেখান থেকে ধর্ষক সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপর ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সাথে শিমুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় শিমুলকেও গ্রেফতার করা হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ,কে,এম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।