গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে মেহেদুল ইসলাম সাশিত নামের (৩৫) এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয়রা ৩ যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহত সাশিত উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের শাহজাহান আলী সাজুর ছেলে।
আটক ওই ৩ যুবক হলো- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দেবোত্তর রামনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের সুন্দইল গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ (২৮) ও পাশ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার দুবলাগাড়ী গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মিঠু মিয়া (৪০)।
নিহতের বাবা সাজু মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার বিকালে তার ছেলে সাশিতকে তার ওই ৩ বন্ধু গাইবান্ধা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যার দিকে সাশিত পলাশবাড়ী উপজেলার ঢোলভাঙ্গা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে ওই বন্ধুরা তার বাড়িতে জানায় । কিন্তু রাতে লাশ বাড়ীতে আনার পর সাশিতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। সাজু মিয়ার অভিযোগ, ওই ৩ যুবকের সাথে আমার ছেলে সাশিতের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। সাশিতের বন্ধুরা এ জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই ৩ যুবককে কাটাখালী বালুয়া বাজারে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আটক ওই ৩ যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, সাশিতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ঘটনাটি পাশ্ববর্তী পলাশবাড়ী এলাকায় ঘটায়- এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আটককৃতদের পলাশবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, আটক যুবকদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে- তাছাড়া যেহেতু সড়ক দূঘর্টনার প্রসঙ্গ এসেছে তাই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছেনা।