শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধা জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

গাইবান্ধা জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর বন্যা না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ধান চাষে সফলতার মুখ দেখছেন। তাই ধানের ব্যাপক ফলনে দারুণ খুশি চাষিরা। আমন ধান চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতাসহ মাঠে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় দেখা যায়, কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ ধান কাটছেন। কেউ কাটা ধানের আটিগুলো বাড়ি নিচ্ছেন, কেউ কাজের ফাঁকে জমির আইলে খাবার খাচ্ছেন।
সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, এবছর আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমরা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়িনি। তাই ধান ঘরে তুলতে কোনো সমস্যা হয়নি।
এই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, এবছর ধান চাষে আমরা ভালো ফলন পেয়েছি। চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হলেও গাইবান্ধায় বৃষ্টি হয়নি তাই আমরা ধান কাটা-মাড়াই সুন্দরভাবে করতে পারছি।
সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল জানান, পোকার আক্রমণে আমন ধান চাষ করে প্রথমে আমরা হতাশায় ছিলাম। পরে কৃষি বিভগের সার্বিক পরামর্শে আমরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহারে ভালো ফলন পেয়েছি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ময়েন উদ্দিন জানান, গত বছর বন্যার কারণে আমার আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে গিয়েছিল। এবছর বন্যা না থাকায় কাটাখালি নদী বেষ্টিত নিচু এলাকাতেও আন ধানের ফসল বেশ ভালো হয়েছে।
সাঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাদেকুজ্জামান বলেন, এবছর সাঘাটায় ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাত যেমন ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৭২ ও ব্রি ধান-৮৭ সহ বিভিন্ন ধানের চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। সাঘাটা উপজেলায় ১৩ হাজার ৩শ ১২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের কৃষি পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। রোপা আমন ধান কাটার কাজ এগিয়ে চলছে। এবছর জেলার ৭ উপজেলায় এক লাখ ২৯ হাজার ৪শ ৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৯০ মেট্রিক টন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com