শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

গাইবান্ধায় ১০০ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রির সম্ভাবনা

গাইবান্ধায় ১০০ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রির সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধার শতাধিক চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৬৩ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে। এসব চরের উৎপাদিত ফসলের মধ্যে মরিচ যেন কৃষকের প্রাণ। এ বছর প্রায় ১০০ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ফুলছড়ির হাটে দেখা গেছে- শুকনো মরিচ বেচা-কেনার চিত্র। এরই মধ্যে জমে ওঠা এই হাট থেকে এসিআই, প্রাণ কোম্পানিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে লাল মরিচ। এখানে প্রতিমণ শুকনো মরিচ ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার ৭টি উপজেলার মধ্যে মরিচ উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা। এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৬৩ হেক্টর মরিচ আবাদ হয়েছে। এছাড়া সাঘাটায় ৪০১, সাদুল্লাপুরে ১৮৫, সুন্দরগঞ্জে ১৫৪, গোবিন্দগঞ্জে ১২৪, পলাশবাড়ীতে ৫১ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪৭ হেক্টর মরিচ আবাদ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে অধিকাংশ আবাদ রয়েছে চরাঞ্চলে। এ থেকে ৪ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন শুকনো মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে ভুট্রা, মরিচ, বাদাম, পাটসহ বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি উৎপাদন করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে মরিচ হচ্ছে কৃষকদের স্বপ্নের ফসল। যা দিয়ে পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হয়। যার কারণে কয়েক বছর ধরে মরিচ উৎপাদনে ঝুঁকছে এখানকার কৃষক। এবারও তা ব্যর্তয় ঘটেনি। গত বছরের তুলনা এবার বেশি জমিতে মরিচ আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গাছ থেকে পাকা মরিচ সংগ্রহ করে শুকানোসহ তা হাটে বিক্রি শুরু করছেন।
মরিচের হাটে আসা নয়ন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর মরিচের চাহিদা অনেক বেশি। এই হাটে মরিচের মান ভালো হওয়া একটু দামও বেশি রয়েছে। ফুলছড়ির হাট ইজারাদার নুরুল জানান, জেলার বিখ্যাত হাট এটি। ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়ে নিরাপদে হাট করেন। আর এখান থেকে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজাস্ব আয় করে থাকেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com