শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম

গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়িতে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত

গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়িতে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত

সাঘাটা প্রতিনিধিঃ ১৫ দিন পূর্বে যেখানে নদীবেষ্টিত বেশির ভাগ চরাঞ্চল ছিল ধু ধু মরুভূমি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে এখন সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যায় রুপ নিয়েছে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল হয়েছে প্লাবিত সেই সঙ্গে ১৪টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সরেজমিন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের বড়মতাইড় গ্রামে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের হুমকিতে থাকা স্থানীয় রাজু মিয়া বলেন, এই স্থানে ভাঙন ঢেকাতে বার বার কাজ করার কথা বললেও কোনো কাজ করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। সাঘাটা বাজার হইতে ইটাকুড়ি বাজার-সাথালিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাঁধটি সংস্কার করা না হলে সাঘাটা বাজার, থানা ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভূমি অফিস, ডাকবাংলো, পোস্ট অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ডাকবাংলা বাজার, কচুয়া বাজার, ইটাগুড়ি বাজার, প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বিভিন্ন অফিস, কৃষি জমি, অগনিত আবাসভূমি স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত দুই বছরে হলদিয়া ইউনিয়নের দুটি মসজিদ, একটি কবরস্থান, ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে অসহায় মানুষগুলো অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করছে। এখনও হুমকির মুখে রয়েছে একটি তিন তলা মাদরাসা, চারটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দুটি ঈদগাহ মাঠসহ আরও কয়েক হাজার পরিবার। ভাঙনের কবল থেকে ঘরবাড়ি আসবাবপত্র সরাতে ব্যস্ত এলাকার মানুষ। তারা এখন অসহায় হয়ে সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী ও খাটিয়ামারী এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক বছরে এ উপজেলার মানচিত্র পাল্টে গিয়ে যমুনা নদে মিশে গেছে। ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি চরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই চরটি নদীগর্ভে বিলীন হবে। এতে সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হবে। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে এসব স্থানে নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরুর দাবী জানান সরকারের কাছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান জানান, নদী ভাঙন প্রতিরোধে গাইবান্ধা জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অব্যাহত আছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে যে সব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে সব এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানো হবে এবং ১৪টি পয়েন্টে কাজের জন্য চাহিদা পত্র প্রেরণ করা হয়েছে মন্ত্রনালয়ে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com