শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন

কর্মস্থলে ফিরতে ঝুঁকি নিয়ে গাইবান্ধা ছাড়ছে শ্রমজীবী মানুষেরা

কর্মস্থলে ফিরতে ঝুঁকি নিয়ে গাইবান্ধা ছাড়ছে শ্রমজীবী মানুষেরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে গাইবান্ধার কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকা , গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ ফিরতে শুরু করেছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও করোনা ঝুঁকি নিয়েই বিকল্প যানবাহনে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। কর্মস্থলগামী অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। গত বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাসপাতাল বালুয়া বাজারের গাইবান্ধা- গোবিন্দগঞ্জ সড়ক এলাকায় গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়।
সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করেই ঈদের আগে যে যার মত করে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি আসেন। পুনরায় সেই করোনা ঝুঁকি নিয়েই ট্রাক, প্রাইভেট, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসে ও পিকআপে করে ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকার অজুহাতে গলাকাটা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায় জেলার সাত উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ শ্রমজীবী। জীবন-জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন তারা। বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিক। করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে ঢাকায় কাজ না থাকার কারণে দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরেন। আবার অনেকের অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে আসেন। আর এসব অঞ্চলের মানুষ ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।
একাধিক ব্যক্তি জানান, বাড়ি থেকে কর্মস্থল পর্যন্ত পৌঁছাতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। মাইক্রোবাসে গাইবান্ধা থেকে ঢাকা যেতে সিটপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা এবং ট্রাকে যাত্রী প্রতি নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে ।
গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় যাওয়া মাইক্রোবাস চালক মোঃ সুলতান জানান পথে পথে নানা বাধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাছাড়া লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঈদ পরবর্তী যাত্রীদের চাপ থাকায় যাত্রীরা গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে ।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সরকারি বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে পুনরায় কর্মস্থলে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে চেক করলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হতে পারে জন্য অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com