শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘটসহ জেলার সবগুলো নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পলাশবাড়ি উপজেলায় কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের টোংরাদহের ২টি পয়েন্টে ৯০ ফুট বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৬টি গ্রাম আকস্মিকভাবে প্লাবিত হয়। ফলে বসতবাড়িসহ রোপা আমন ধান ও অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডর সুত্রে জানা গেছে, নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে গতকাল মঙ্গলবার বিপদসীমার ৮১ সেঃমিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমা ছুই ছুই করছে।
এদিকে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত, শিবপুর, সাপমারা, নাকাই, কাটাবাড়ি, ফুলবাড়ি, হরিরামপুর, মহিমাগঞ্জ, রাখালবুরুজ ও তালুকানুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি। এছাড়া পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। অসময়ে আকস্মিক এই বন্যায় সংশি¬ষ্ট এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় সংশি¬ষ্ট বাড়ির লোকজন চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ১ হাজার পরিবার তাদের পালিত পশু পাখি নিয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য ৫ মেঃ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।
কৃষক ফ্রন্টের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারি আর্থিক সহায়তা, বিনামূল্যে সার, বীজ, গো-খাদ্য প্রদান, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিশেষ ওএমএস কার্ড চালু এবং এনজিওদের কিস্তি আদায় আগামী ৬ মাস স্থগিতের দাবিতে গত সোমবার সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে পৌর শহিদ মিনার চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, কৃষক ফ্রন্টের সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র মোদক, মোখলেছুর রহমান, নুরুন্নবী সরকার, প্রতিমা মোদক, শেখ খালিদ বিন ফয়সাল মারুফ প্রমুখ।