শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

উপ-নির্বাচন গাইবান্ধা-৩, ভোটের বাকি ১০ দিন জয়ের আশাবাদী আ’লীগ, হাল ছাড়তে নারাজ বিএনপি

উপ-নির্বাচন গাইবান্ধা-৩, ভোটের বাকি ১০ দিন জয়ের আশাবাদী আ’লীগ, হাল ছাড়তে নারাজ বিএনপি

ধাপেরহাট (সাদুল্লাপুর) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচন আগামী ২১ মার্চ আর মাত্র ১০ দিন পরেই এ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শহর, বন্দর, রাস্তা ঘাট, পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনী মাইকিং, মিছিল, মিটিং গণসংযোগ অব্যহত থাকলেও এখনো ভোটের সাড়া পরেনি গ্রাম গঞ্জের সাধারন ভোটারের মাঝে। এ আসনে এবারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রর্তীক নিয়ে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ উম্মে কুলছুম স্মৃতি, বিএনপির ধানের শীষ প্রর্তীক নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ ময়নুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রয়াত এমপি ড.টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর ছেলে মইনুল রাব্বি চৌধুরী রোমান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের মশাল প্রতীক নিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম খাদেমুল ইসলাম খুদি। মোট ৪জন প্রাথী লড়বে এবার এই উপ নির্বাচনে। চার প্রার্থীর দু’জনের বাড়ী পলাশবাড়ী উপজেলায় (স্মৃতি ও রোমান) অপর দু’জন সাদুল্লাপুর উপজেলার (ডাঃ সাদিক ও খুদি) সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। দু’উপজেলায় মোট ২০টি ইউনিয়ন। মোট ভোটার সংখা ৪ লাখ ১১ হাজার ৮৫৪ জন আওয়ামীলীগের দাবি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে মানুষ তাদের প্রার্থীকেই ভোট দিবেন। আবার বিএনপি দাবি করেছে, তাদের প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের পাশে আছেন, তাই বিজয় তাদেরই প্রাপ্য। অপরদিকে জাপার প্রার্থীর দাবি জাতীয় পাঠির দূর্গ হিসাবে পরিচিত দীর্ঘ ৩০ বছর এ আসন তাদের দখলে ছিল তাই বিজয় তাদেরই হবে। জাসদ প্রার্থী দাবি তিনি তরুন উদিয়মান ছাত্র রাজনীতিবিদ, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে সাধারন ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সফল চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিজয়ের আশা করছেন সকলেই। তবে, ধারনা করা হচ্ছে এ আসনে মুল প্রতিদন্দীতা হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির। উল্লেখ্য যে, এবারে নির্বাচনে কোন দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীতো নেই, তার উপরে নেই কোন মান অভিমান সবাই নিজ নিজ দলের বিজয় ছিনিয়ে আনতে দলের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলাফল জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীদেরকেই বেশির ভাগ ভোটের মাঠে সাধারন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে মরিয়া হয়ে ঘুড়তে দেখা যাচ্ছে। সূত্র ও পরিসংখ্যান বলছেঃ প্রায় ৩০ বছর পর দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ি হয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কা প্রার্থী ডাঃ ইউনুস আলী সরকার, তিনি নির্বাচিত হয়ে এলাকায় দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। তার সেই উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কথা অকপটে স্বীকার করেন সাধারন মানুষসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকজনও। তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে এ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামলীগ তথা নৌকা প্রর্তীক বিজয়ী হবেন বলে বিশ্লেষকদের ধারনা। কারন, ইতিমধ্যেই এ ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে জাপা ফাঁকা হয়ে অনেক নেতাকর্মী আওয়ামলীগে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে দির্ঘদিন পরে এ আসনে ভোট করার সুযোগ পেয়েছে বিএনপি তাই তারা উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নেমেছে বিজয় ছিনিয়ে আনতে। কারন ১৯৯৬ইং সালের পর হইতে এ আসনে সবকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাদের শরীকদল জামায়াতে ইসলামী দলকে ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সময় নিজের দলীয় প্রার্থীকে না পেয়ে অনেকে হতাশায় ছিলেন। প্রায় বিশ বছর পর বিএনপি এবার দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতা কর্মীরা বেশ উৎফুল্ল মনোভাব নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন। সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শাহরিয়া খান বিপ্লব জানান, আমাদের আওয়ামলীগের দলীয় প্রার্থী এ্যাডঃ উম্মে কুলছুম স্মৃতি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক ইতি পূর্বে তিনি দশম জাতীয় সংসদে এই এলাকার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি যেহেতু কেন্দ্রেীয় নেতা তাই উপ-নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হলে এলাকার সর্বচ্চ উন্নয়ন হবে। সাধারন ভোটাররা এখন অনেক সচেতন। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সাধারন মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করবেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, আমাদের প্রার্থী ডাঃ মইনুল হাসান সাদিক জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক । তিনি মানুষের সেবা করার জন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেন। সুখে-দু:খে সব সময় তিনি মানুষের পাশে থাকেন। একদম ক্লিন ইমেজের মানুষ ডাঃ সাদিককে বিজয়ী করতে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বিজয়ী হলে এলাকার যে উন্নয়ন করবেন, সেটি অন্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা আশাবাদী এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করব।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com