শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধায় বাড়ছে ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা। ইদানিং শহরে বেড়ে গেছে এসব মোটরসাইকেল। সড়কে বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে অনেকে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ব্যাটারিচালিত হিসেবে রূপান্তর করে নিচ্ছেন বলে ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেল চালকরা জানান।
গাইবান্ধায় ইঞ্জিনচালিত মোটরসাইকেল ব্যাটারিচালিত হিসেবে রূপান্তরের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শহর ও শহর-সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক গ্যারেজ। এসব গ্যারেজেই করা হচ্ছে ইঞ্জিন থেকে ব্যাটারিতে রূপান্তর করার কার্যক্রম। আর পুলিশি ঝামেলা এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করছে শহর-বন্দরের রাস্তাঘাট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রূপান্তরিত ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেলের এক চালক বলেন, মোটরসাইকেলটি ইঞ্জিনের স্থানে ব্যাটারি লাগিয়ে চালাচ্ছি। নম্বরবিহীন পুরাতন মোটরসাইকেল কিনেছি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে। আর ১০ হাজার টাকা খরচ করে ব্যাটারিচালিত হিসেবে রূপান্তর করে নিয়েছি। মোট ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মোটরসাইকেলটি কোনো বাধাছাড়াই রাস্তায় চলাচল করছে। এতে আমার পেট্রোল-মবিল খরচ বেঁচে যাচ্ছে। শুধু বাসাবাড়ির বৈদ্যুতিক লাইনে সামান্য চার্জ দিলেই চালানো যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক চালক (পুস্তক ব্যবসায়ী) বলেন, কোনো ঝামেলা নেই। পুরাতন একটি মোটরসাইকেল কিনে তাতে ব্যাটারি লাগিয়ে চালাচ্ছি। বাড়ি থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সাংসারিক বিভিন্ন কাজকর্ম করি এই সাইকেল দিয়েই। কখনই পুলিশি কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। তেলচালিত মোটরসাইকেল চালাতে গেলে হেলমেট, গাড়ির কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু ব্যাটারিচালিত হওয়ায় কোনো প্রকার ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয় না।
এ ব্যাপারে বিআরটিএ গাইবান্ধার পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ওইসব ব্যাটারিচালিত রূপান্তরিত অবৈধ যানবাহন রাস্তায় চলাচল নিষেধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধা ট্রাফিক ইনচার্জ (প্রশাসন) মোঃ নুর হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আইনগত কোনো নির্দেশনা নেই। তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে ওইসব গাড়ি চোরাই কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়।