শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল আউয়াল হত্যাকা-ের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার মুল রহস্য উদ্ঘটন ও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট এলাকায় ধান ক্ষেতে মোবাইল ব্যাংকিং ও রিচার্জ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়ালকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় দুবৃত্তরা। পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুল আউয়াল গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের মোঃ হাফিজার রহমানের ছেলে। পুলিশ পাঁচজনকে আটক করলেও এখন পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘটন করতে পারেনি। আটক ব্যক্তিরা হলো- জাকির হোসেন, জুয়েল মিয়া, রাসেল মিয়া, লিটন মিয়া ও খলিল মিয়া। এ নিয়ে নিহতের বাবা মোঃ হাফিজার রহমান বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে থানায় মামলা করে।
মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মামুন জানান, আকটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য জানা যায়নি। তবে অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত কারন ও আসামিদের গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হবে।
থানার ওসি মোঃ মাহবুব আলম জানান, এনিয়ে নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ্অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘটন ও আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
গত বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আব্দুল আউয়াল দোকান হতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজা খুজি শুরু করে। পরদিন গত বৃহস্পতিবার সকালে ধানক্ষেতে সেচ মটারের পানি দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মরদেহটি ধানক্ষেতে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা এসে থানা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে।